বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি নিজেই আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশের ফেরার তারিখ উল্লেখ করেছেন। তিনি একান্তই বিশ্বাস ব্যক্ত করে বলেছেন, ইনশাআল্লাহ, তিনি সেদিনই দেশে ফিরে যাবেন। দীর্ঘ আটাশ বছর দেশের বাইরে থাকলেও তিনি এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন कि খুব শিগগিরই তিনি নিজ দেশে ফিরবেন এবং দলের সঙ্গে থাকবেন।
এই ঘোষণা তিনি মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) লন্ডনে অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় দেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, এই দিনটি আমাদের জন্য অত্যंत গুরুত্বপূর্ণ— একদিকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের স্মৃতি, অন্যদিকে দীর্ঘদিনের প্রিয় দলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের সময়। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সঙ্গে প্রায় ১৮ বছর কাজ করেছি, কিন্তু এবার আমি আশা করি, আগামী ২৫ ডিসেম্বর ইনশাআল্লাহ, আমি দেশে ফিরে আসব।’
তিনি আরও বলেন, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা ষড়যন্ত্র করেছিল, ১৯৭৫ সালের ১৭ নভেম্বর জাতির স্বাধিকার আক্রমণে যারা শামিল হয়েছিল, ৮১ এবং ৯৬ এর সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রকারীরা— সবাই এখনও সক্রিয়। তিনি বলেন, ‘‘এখনো তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।’’
বিএনপি নেতা আরও মন্তব্য করেন, স্বৈরশাসক সরকার অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকাআঁই এদিক-সেদিক পাচার করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি স্বপ্ন দেখায় না, বরং বিশ্বাস করে, স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে।
নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সামনে কাজগুলো সহজ হবে না। তবে একসাথে থাকলে তিনি বিশ্বাস করেন, দেশের জন্য তাদের পরিকল্পনাগুলো সফল হবে এবং সুস্পষ্ট পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
তিনি বলেন, দুমাসের মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিন আসছে। এই সময়ত, জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করাই বিএনপির দায়িত্ব, আর সঙ্গে সেই সঙ্গে দেশের জন্য স্পষ্ট পরিকল্পনা তুলে ধরাও গুরুত্বপূর্ণ।
তারেক রহমান আরও বলেন, তিনি কোনো স্বপ্ন দেখছেন না, বরং পরিকল্পনায় আছেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, দেশকে উদ্ধার করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বঙ্গমাতা খালেদা জিয়া। বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ তাদের ভোট দেবে এবং তারা সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে।
২০০৭ সালের এক-এগারো’র রাজনৈতিক অস্থিরতায় তারেক রহমান গ্রেফতার হয়েছিলেন। এরপর, ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন।









