ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডকে ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) লন্ডন থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এই হত্যাকাণ্ডকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর আঘাত হিসেবে অভিহিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার পর সাধারণ জনগণ তথা জনসমর্থকদের দ্বারা দুটি প্রধান সংবাদপত্রের অফিসে হামলা চালানো হয়। এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার রক্ষার সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, যদিও জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে, তবুও রাজনৈতিক সহিংসতা এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে সরকারের ব্যর্থতা বাংলাদেশের নাগরিক অধিকারকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। এতে করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকি বাড়ছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের উপ-পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেছেন, বাংলাদেশের যুব নেতা ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত ভয়াবহ এক ঘটনার প্রকৃতি। তিনি উল্লেখ করেন, আগস্টের পর থেকে দেশব্যাপী গণপিটুনির মতো সহিংসতা শুরু হয়েছে, যা সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপের দিকে নির্দেশ করে। ভবিষ্যতের জন্য আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের এখনই কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, প্রথম আলো এবং দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলা মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর এক উদ্বেগজনক আঘাত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং কিছু রাজনৈতিক দলের সহিংসতা উসকানি এই পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলছে।
অবশেষে, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও বাংলাদেশে ওসমান হাদির হত্যার নিন্দা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত সম্পন্ন করে মানবাধিকারের মান অনুসারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।






















