প্রতিবেশী বাংলাদেশে চলমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করেছেন ভারতের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা। শুক্রবার ভারতীয় সেনাবাহিনী, আসাম রাইফেলস ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। কেউ বাদ যাননি, তারা সীমান্তের সংবেদনশীল এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন এবং মাঠপর্যায়ের প্রস্তুতির দিকগুলো মূল্যায়ন করেন। উল্লেখ্য, ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রায় ৮৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যার বড় অংশ এখনও কাঁটাতারবিহীন। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সতর্কতা জোরদার করেছে। ভারতের ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি বিশেষ একটি সীমান্ত ফাঁড়িতে পৌঁছে সরাসরি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি সীমান্তে চলমান অপারেশনাল প্রস্তুতিসহ সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা খুঁটিয়ে দেখেন। এই পরিদর্শনকালে তিনি সৈনিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের পেশাদারিত্বে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। কমান্ডের এক গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতিতে বলা হয়, সেনাপ্রধান প্রতিটি স্তরের সদস্যের নিষ্ঠা ও সতর্কতা প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক মানিক সাহা বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং রাজ্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আগরতলায় একটি সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের নজরদারির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, দেশের শীর্ষ নেতৃত্বরাও সর্বদা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভারত সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে এনই।






















