দৈনিক প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার-এর কার্যালয়ে পরিচালিত হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে, সোমবার এই ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, ফলে এখন পর্যন্ত মোট ২৬ জনকে আটক করা হলো।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে ৩১ জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও মূল অপরাধীদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এই হামলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার রাতে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় ১৫ জনকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ডিএমপি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন নজরুল ইসলাম জানান, ১৮ ডিসেম্বর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয় ও ফার্মগেটে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনার পর ভাষ্য হলো, প্রথম আলো পক্ষ থেকে মামলা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং ডেইলি স্টার কার্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলমান। সংস্থাগুলোর নিরাপত্তায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে তদন্ত চলছে, এবং এখন পর্যন্ত ১৩ জন থানা পুলিশ, ৩ জন সিটিটিসি, একজন ডিবি কর্মকর্তাসহ মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— মোহাম্মদ নাইম, আকাশ আহমেদ সাগর, আব্দুল আহাদ, বিপ্লব, নজরুল ইসলাম (অথবা মিনহাজ), মো. জাহাঙ্গীর, সোহেল রানা, মো. হাসান, রাসেল (অথবা সাকিল), আব্দুল বারেক শেখ (অথবা আলামিন), রাশেদুল ইসলাম, সোহেল রানা, শফিকুল ইসলাম, মো. প্রান্ত সিকদার (অথবা ফয়সাল), আবুল কাশেম, রাজু হোসাইন চাঁদ ও সাইদুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ আরও জানায়, সমাজ মাধ্যমে প্রকাশিত হামলাকারীদের ছবি ও ভিডিও এখনও গোপন। তবে পুলিশ ৩১ জন সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছে এবং তাদের মোট গ্রেপ্তার কার্যক্রম চলমান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা আরও বলেছে, উস্কানি ও সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, রোববার রাতে এই হামলার জন্য তেজগাঁও থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সাইবার সুরক্ষা আইনের আওতায় মামলাটির দায়ের করা হয়। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সময় তারা প্রায় দুই কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকার সম্পদ লুট করে, এবং পুরো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩২ কোটি টাকা।






















