মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীদিনে বাংলাদেশ নিরাপদ, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তারেক রহমানের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, গণতন্ত্রে অটল বিশ্বাস এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা দেশের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গতকাল সোমবার বিকেল ৪টায় নগর বিএনপি’র উদ্যোগে আয়োজিত এক আনন্দ মিছিলের পূর্বসমাবেশে এই বক্তব্য রাখেন তিনি। এই কর্মসূচি দেশের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে, যা ২৫ ডিসেম্বর পালিত হবে।
সমাবেশে বক্তারা উল্লেখ করেন, দীর্ঘ দিন ধরে দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন ক্ষীরিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা বেড়েছে এবং সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় একজন দূরদর্শী, শক্তিশালী এবং গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের প্রয়োজন, এবং সেই দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম তিনি হচ্ছেন তারেক রহমান।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক করতে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপি একটি স্পষ্ট রূপরেখা তৈরি করে কাজ করে যাচ্ছে। তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের প্রস্তাব দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার প্রতিফলন। এই সংস্কার বাস্তবায়ন হলে গণতন্ত্র, সুশাসন এবং মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত হবে।
বক্তারা জানান, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি নতুন আশার সঞ্চার করবে। দেশের মানুষ এখনই চায় নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে, এবং বিএনপি সেই সংগ্রামে উপস্থিত রয়েছে এবং থাকবে।
এসময় বক্তৃতা করেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, কে. এম. হুমায়ুন কবির, হাফিজুর রহমান মনিসহ আরও অনেক বিশিষ্ট নেতা-কর্মী। সমাবেশ শেষে আনন্দ মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা, যেখানে তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, অবাধ নির্বাচন এবং তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে নানা স্লোগান দেন।


















