অভিষেকের পর থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ বাংলাদেশের দল টানা দুইবার এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে। তবে এইবারের আসরে তাদের মনের আশা ভঙ্গ হয় সেমি ফাইনালে, যেখানে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে হার মানেন জুনিয়র টাইগাররা। চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ফাইনালে ওঠা পাকিস্তান বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে গেলো এবং ভারতের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে ১৯১ রানের জয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা প্রত্যাশা তৈরি করল।
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এই ফাইনালে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৪৭ রান তোলে। দলের হয়ে প্রখ্যাত ব্যাটসম্যান সামির মিনহাস ১৭২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে পাকিস্তানের জয়ের ভিত শক্ত করেন। ভারতের জন্য নিশ্ছিদ্র এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৬ ওভারে ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
ভারতের শুরুটা ভালো ছিল না। ওপেনার বৈভব সূর্যবংশী প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক থাকলেও বেশিক্ষণ টিকে থাকেননি। মাত্র ১০ বলে ২৬ রান করে ছয়টি চার ও একটি ছক্কার মাধ্যমে ধরা পড়েন। এর পরে মিডল অর্ডারে অবিজ্ঞান কুন্ডু ও কনিশ চৌহানরা চেষ্টা করলেও ইনিংসটি বড় করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত।
অপ্রত্যাশিত এই বড় ব্যবধানে হেরে যায় ভারত, যেখানে বড় সংগ্রহের জন্য তারা হতাশ। অবশ্য শেষের দিকে খিলান প্যাটেল ও দীপেশ দেবেন্দ্র কিছুটা লড়াই করে দেখান। খিলান ২৩ বলে ১৯, আর দীপেশ ১৬ বলে ৩৬ রান করেন, যা কিছুটা হলেও হারের ব্যবধান কমিয়ে দেয়।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংস শুরু হয় ধীরগতিতে। প্রথম উইকেট পড়ার পর উসমান খান ও সামির মিনহাস মুহূর্তের জন্য দলকে স্বস্তিতে এনে দেন। উসমান খান ৭৯ বলের মধ্যে ৯২ রান করেন এবং মিনহাস তার সতীর্থ আহমেদ হুসেইনের সাথে ১২৫ বলে ১৩৭ রান যোগ করেন, যা উল্লেখযোগ্য। মিনহাস ৭১ বলে ১২ চার ও ৪ ছয়ে ১৭২ রান করে আউট হন। এই অসাধারণ সেঞ্চুরির পর পাকিস্তান বড় সংগ্রহের পথে এগোতে থাকে। এরপর আহমেদ হুসেইন ৫৬ রানে আউট হলেও পাকিস্তান ৩০২ রান করে ৪৩ ওভারে। শেষ দিকে, শফিক ও সাইয়াম ২০ বলে ২০ রান যোগ করে দলকে ৩৪৭ রানে পৌঁছে দেন, যা এশিয়া কাপের ফাইনালে সর্বোচ্চ স্কোর। দীপেশ দেবেন্দ্র তিনটি উইকেট নেন, হেনিল প্যাটেল দুটির দেখা পান। চূড়ান্তভাবে পাকিস্তান এই জয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয়।


















