বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকত্ব দিয়ে ক্রিকেটার ও কোচ নিয়োগ করে সেই দেশের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের পরিচিতি গড়ে তুলছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ওমানসহ আরও কিছু দেশ এই পথে এগোতে চাইছে। এরই অংশ হিসেবে সৌদি আরবও ক্রিকেটের প্রসার ঘটানোর পরিকল্পনা করছে, যেখানে বাংলাদেশ থেকেও কিছু ক্রিকেটার ও কোচ নেওয়ার প্রস্তাব ছিল। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন যে, সৌদি আরবের এ ধরনের প্রস্তাব তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রায় দুই মাস আগে সৌদি আরব আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমি সেই সময়ই তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি। তারা পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগের ক্রিকেটার ও কোচ পাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে। এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, নিজের দেশের স্বার্থ উপেক্ষা করে অন্য দেশে ক্রিকেটার বা কোচ পাঠানো সম্ভব নয়।’
‘ভিশন ২০৩০’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সৌদি আরব আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের অবস্থান রাখার জন্য ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। ক্রিকেটেও তারা দ্রুত অগ্রসর হতে চাইছে, ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো এই পথ অনুসরণ করেছিল।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্প্রতি সৌদি আরব বিসিবির কাছে খেলোয়াড় পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশি ক্রিকেটের নিয়ম মানতে না চাওয়া ও দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে বিসিবি এই বিকল্পে রাজি হয়নি।
বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে সৌদি আরবের প্রভাব দ্রুত বাড়ছে। লিভ গলফ, ফর্মুলা ওয়ান, এবং ২০৩৪ ফিফা বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে দেশটি বিপুল বিনিয়োগ করেছে। এখন তারা ক্রিকেটেও নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে চেষ্টা করছে। আইসিসি ও এসিসির সহযোগিতায় উপসাগরীয় অঞ্চলে ক্রিকেটের নতুন কেন্দ্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে দেশটি।


















