২৬ জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ইমাম হাসান তাইম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জশিট) দাখিল করেছে প্রসিকিউশন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারকের কাছে এ অভিযোগ জমা দেওয়া হয়।
অভিযোগে নাম রয়েছে আরও নয়জনের, যারা সবাই পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন— ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, ওয়ারী জোনের সাবেক ডিসি ইকবাল হোসাইন, এডিসি শাকিল মোহাম্মদ শামীম, মো. মাসুদুর রহমান মনির, নাহিদ ফেরদৌস, যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি আবুল হাসান, জাকির হোসাইন, মো. ওহিদুল হক মামুন, সাজ্জাদ উজ জামান ও মো. শাহদাত আলী। জানা গেছে, বাকিরা সবাই পুলিশবিভাগেরই কর্মী ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ গুলিতে শহীদ হন ইমাম হাসান তাইম। তার বাবা মো. ময়নাল হোসেন ভূঁইয়া রাজারবাগ পুলিশলাইনসের উপ-পরিদর্শক। ওই দিন সকালে বন্ধুদের সঙ্গে চা飲 করতে বের হন তিনি, কিন্তু সেই স্মৃতি এখনো কষ্টের স্তম্ভ হয়ে থাকল। পুলিশ গুলিতে তিনি লাশ হয়ে ফিরেন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তার মরদেহ পাওয়া যায়, যেখানে ময়নাল ফোনে উপ-পরিদর্শক ছিলেন। তিনি মরদেহ দেখার সময় ফোনে বলেছিলেন, ‘স্যার, আমার ছেলেটা মারা গেছে। ওর বুক ঝাঁঝরা হয়ে গেছে গুলিতে। আমার ছেলে আর নেই। এটাই আমার জন্য বড় আঘাত। আর একজনকে মারতে কতগুলো গুলি লাগে, স্যার?’






















