আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি আরও বেশ কয়েকটি আসন শরিক দলগুলোকে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। একদিন আগে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে চারটি আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।এতে উল্লেখ করা হয়, এলডিপি থেকে বিএনপিতে যোগদানকারী ড. রেদোয়ান আহমেদ কুমিল্লা-7, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জাফর মোস্তফা জামান পিরোজপুর-1, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-3, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ঝিনাইদহ-2, বিএনপিতে যোগ দেওয়া ববি হাজ্জাজ ঢাকা-13 ও গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-6 ও ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি রশিদ যশোর-5 থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে ফখরুল বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছেড়ে দেওয়া আসনে বিএনপি আর কোনো প্রার্থী দেবে না। যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়লেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি আরও জানান, যেসব আসনে দলীয় সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন হবে, সেগুলোর জন্য বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না। কেবল ঐসব আসনে যেসকল শীর্ষ দল বা শরিক দলকে বিশেষ সমঝোতার মাধ্যমে আসন দেয়া হবে, তারাই প্রার্থী হতে পারবে। এতে আওয়ামী লীগ বা অন্য দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রয়োজনে বিএনপি তাদের প্রার্থী না দিয়ে সমঝোতায় যেতে চায় বলে জানা গেছে। এ ছাড়া, বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ায় দলের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।প্রসঙ্গত, এই অংশের মতে, বলাই বাহুল্য যে, বিএনপি এই নির্বাচনে শরিক দলগুলোকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এজন্যই তারা তাদের দলের মধ্য থেকে বিভিন্ন ব্যক্তিকে দেশেবিচ্ছিন্ন করে ও দলীয় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান শাদাহাৎ হোসেন সেলিম নিজ দল বাজেয়াপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। পরে তাকে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। একইভাবে, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদাও নিজেদের দল ঢাকা-১ পুর্নবিবেচনা করে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে প্রার্থী হতে চান। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি, তবে বিএনপি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।গতকাল মঙ্গলবার, বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উল্লেখ করেন, জমিয়তের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার ভিত্তিতে তারা চারটি আসনে প্রার্থী দেবে না। এ চার আসন হলো, নিলফামারী-১ (মো. মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী), নারায়ণগঞ্জ-৪ (মনির হোসাইন কাসেমী), সিলেট-৫ (মো. উবায়দুল্লাহ ফারুক) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (জুনায়েদ আল হাবীব)।এ পর্যন্ত, আওয়ামী লীগের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৭২টির প্রার্থী তালিকা দুই দফায় প্রকাশ করেছে বিএনপি। আর বাকি ২৮টির মধ্যে চারটি আসন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে নির্ধারিত হলেও আরও আটটি আসন শরিক দলের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, এখনও বাকি রয়েছে ১৬টি আসন।






















