বুধবার সকালে ঝিনাইদহ-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এর নাম নিশ্চিত করেছেন দলটির নেতারা। এই তথ্যটি প্রথম প্রত্যক্ষভাবে জানান গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে নির্বাচনী সমন্বয়করা, যেখানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই খবর, যা নিয়ে সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
প্রার্থী হিসেবে রাশেদ খান এর নাম প্রকাশের পর থেকে অনেক স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে, এই আসনটি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ এবং জেলা বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান বেল্টু এর স্ত্রী মুর্শিদা জামানকে। তারা সবাই আলাদা রাজনৈতিক গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আসন প্রত্যাশী হিসেবে কর্মসূচী চালিয়েছেন।
প্রথমে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে, বিভিন্ন নেতাকর্মীর মধ্যে হতাশা ও অসন্তোষ দেখা দেয়। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে, যেখানে তারা এই আসনটি বিএনপির উপযুক্ত মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানান।
আমিন রাশেদ খান বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে গুলশানে বিএনপির অফিসে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে আমাকে জানানো হয়েছে যে আমি ঝিনাইদহ-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছি।’ তিনি আরও জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই ঝিনাইদহ-৪ এলাকায় নির্বাচনী জনসভা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই ঘোষণা ও প্রার্থী নিশ্চিতের বিষয়ে বিএনপির দলীয় নেতারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।






















