মহনগর যুবলীগ নেতা বাচ্চু মোড়ল (৫০) কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দৌলতপুরের বিএল কলেজ গেটের পাশে অবস্থিত রেললাইনের সংলগ্ন একটি অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, বাচ্চু মোড়ল যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত হলেও এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। তাকে বিএল কলেজ রোডের বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এলাকা বাসীরা জানিয়েছেন, বাচ্চু মোড়ল দৌলতপুরের শিক্ষা প্রকৌশল অফিসে বিগত দিনে স্বঘোষিত নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার সাথে কোনো সমন্বয় না করেই সাধারণ ঠিকাদাররা দরপত্র দাখিল করতে পারতেন না। ওই প্রতিষ্ঠানটির ঠিকাদার সিন্ডিকেটের অন্যতম নেতা তিনি। দৌলতপুরে বাড়ি ও বিএনপি নেতা মন্নুজান সুফিয়ান ও এসএম কামালের কাছে থাকায় অফিসে তার ওপর ভরসা ছিল। তার কারণে অনেক সাধারণ ঠিকাদার ও অফিসের স্টাফ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারই হুমকি-ধমকি ও চাপের প্রভাবে অফিসের সব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো। তিনি বলেন, তারই প্রচেষ্টায় ওই অফিসে সব সিদ্ধান্ত চলত। প্রকৌশল অফিসে তার দাপট ছিল বলে এলাকার মানুষ জানতেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে তার ভূমিকা দেখা গেছে। আন্দোলনরত ছাত্র ও জনতার বিজয়ের পরে কিছুদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন, তবে পরে আবার এলাকায় ফিরে এসে পুনরায় নিজের আধিপত্য দেখাতে শুরু করেন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরাও তার অকথ্য হুমকি-ধামকি থেকে মুক্তি পায়নি। দৌলতপুর এলাকায় বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্কের নাম ছিল এই বাচ্চু মোড়ল। তার ভয়ে বাসায় ঘুমাতে পারেন না কিছু এলাকাবাসী, এমনকি মিছিল-মিটিং অনুষ্ঠিতও হয়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মামুন বলেন, গ্রেফতারকৃত বাচ্চু মোড়লকে দৌলতপুর বিএল কলেজ রোডের বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলায় গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।






















