জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১টায় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) উপস্থিত হন। সেখানে তিনি আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ দিয়ে এনআইডি রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
নির্বাচন কমিশনের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের জানান, তারেক রহমান অনলাইনে ফরম পূরণ করেছেন। এরপর তিনি আমাদের কাছে এসে শুধুমাত্র আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ স্ক্যান করান। সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার তথ্য সার্ভারে পাঠায় এবং তা অন্য কারও সঙ্গে মিললে তা নিশ্চিত করে। যদি মিল না হয়, তাহলে ৫ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার এনআইডি নম্বর জেনারেট হবে। তিনি চাইলে আমাদের কাছ থেকে স্মার্ট কার্ড বা এনআইডি সংগ্রহ করতে পারবেন।
এছাড়াও তারেক রহমানের মোবাইলে এসএমএস যাবে, যেখান থেকে তিনি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আজকের মধ্যেই তার নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রথমে ভোটার নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি নির্বাচন কমিশন ত্যাগ করেন। তিনি সকাল ১টার পর আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে প্রবেশ করেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি সম্পন্ন করে প্রমাণিত হন। চেকিং, ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ গ্রহণের মাধ্যমে তাঁর নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হয়।
নিবন্ধনের পরে দেখানো যায়, বিকেল ১টা ২০ মিনিটের দিকে তারেক রহমানের গাড়িবহর নির্বাচন কমিশন এলাকা ত্যাগ করে। এ সময় আগারগাঁও এলাকায় ব্যাপক নেতা-কর্মী উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয় এবং তারেক রহমানকে স্বাগত জানায়। বাহন বের হওয়ার সময় তিনি হাত নেড়ে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান, এতে অংগীকার ও উচ্ছ্বাস আরও বেড়ে যায়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৭ বছর ৩ মাস নির্বাসন শেষে ২৫ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর থেকেই তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কাজ শুরু করেছেন। ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে তার নাগরিক অধিকার ব্যবহারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সম্পন্ন হলো।













