ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বলেছেন, হাদির হত্যাকাণ্ডের রাতের ঘটনা পরই ময়মনসিংহের সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যায় শ্যুটার ফয়সাল ও আলমগীর। পুলিশের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত সূত্র, সিসিটিভি ফুটেজ এবং আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার দিনই তাদের শনাক্ত করা হয়। তদন্তে প্রাথমিক তথ্যে প্রকাশ পেয়েছে, ফয়সাল করিম মাসুদ দাউদ ওরফে রাহুল এবং তার সহযোগী মোটরসাইকেল চালক মো. আলমগীর শেখ কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে যান। তারা প্রথমে ঢাকার মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে উপস্থিত হয়, এরপর সাভার, হেমায়েতপুর, আগারগাঁও ও নরসিংদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। তবে, তারা তদন্তে বলেছে, নাটকীয় এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা তারা আগেই করেছিল। এর অংশ হিসেবে, ডিএমপির বিশেষ দল ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের সীমান্তবর্তী এলাকা পর্যন্ত অনুসন্ধান চালিয়েছে। ঘটনার মূল masterminds ও পালানোর সহায়তাকারীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে, যার মধ্যে মোট ১১ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ফয়সালের বাবা হুমায়ুন কবির, মা হাসি বেগম, স্ত্রী শাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু, বন্ধু মারিয়া আক্তার লিমা, মো. কবির নুরুজ্জামান নোমানিয়া, সিবিয়ন দিও, সঞ্জয় চিসি, মো. আমিনুল ইসলাম রাজু, আব্দুল মান্নান এবং আলমগীরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিমন রয়েছেন। তারা ছাড়াও, হত্যার জন্য ব্যবহৃত দুই বিদেশি পিস্তল, ৫২ রাউন্ড গুলি, ম্যাগজিন, ছুরি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল এবং ভুয়া নম্বর প্লেটসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে জানা গেছে, এই খুনের পরিকল্পনা তারা ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে শুরু করে মানিকগঞ্জের কালামপুর, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পৌঁছানোর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী করে। ধরা পড়ার আগে তারা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যায় এবং স্থানীয় সহযোগীদের মাধ্যমে ভারতে তাদের হস্তান্তর সম্পন্ন করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, অভিযুক্তরা অবৈধ পথে সীমান্ত পেরিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ছয়জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং চারজন সাক্ষ্য দিয়েছেন ১৬৪ ধারায়। পুলিশ বলছে, পুরো তদন্ত চলছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।




















