দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফিরেই তারেক রহমান তৃতীয় দিনেই তার রাজনৈতিক কার্যালয় দিয়ে অফিস কার্যক্রম শুরু করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এসে নতুন নির্মিত চেম্বারে বসেন। এদিন বেলা ১টা ৪৮ মিনিটে গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়ি থেকে তিনি পৌঁছান চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে। অফিসে প্রবেশের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা—খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান ফুল দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। সবাই সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পরে তিনি কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় প্রস্তুত বিশেষ চেম্বারে গিয়ে দাপ্তরিক কাজ শুরু করেন। বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এক সূত্র জানায়, এটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রথম অফিস হিসেবে চিহ্নিত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন– দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, উপদেষ্টা মাহাদী আমিনসহ আরও অনেকে। এছাড়া বগুড়া জেলা বিএনপির নেতারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, শুধু গুলশানের কার্যালয়ই নয়, নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও তার জন্য একটি আলাদা চেম্বার প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি, গুলশানে একটি পৃথক বাসা ভাড়া নেওয়া হয়েছে, যেখানে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে তারেক রহমান ঢাকা-১৭ ও বগুড়া-৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তারেক রহমানই দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় ফিরেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। প্রথম দিন সংবর্ধনা ও বক্তৃতার পর তিনি এভারকেয়ার হাসপাতাল গিয়ে মা খালেদা জিয়াকে দেখেন। শুক্রবার তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে যান, শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শনিবার তিনি কাজী নজরুল ইসলাম মাজার ও পিলখানা ট্র্যাজেডিতে নিহত সেনা কর্মকর্তা ও নিহতদের কবর জিয়ারত করেন। একই দিন তিনি আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে গিয়ে ভোটার হওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।






















