ইমাদ ওয়াসিমের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পাশাপাশি ঢাকা ক্যাপিটালসের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিতে থাকেন। একই সঙ্গে, নাসির হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও সালমান মির্জারা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্পেল দেন। previous ম্যাচের নায়কদের—নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম—শুরুর দিকে ভালো খেললেও তারা বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। শেষের দিকের বিধ্বংসী ব্যাটে রাজশাহী ১৩২ রানের মোট পুঁজি সংগ্রহ করে। তবে এই লক্ষ্য তাড়ার জন্য ঢাকার জন্য সহজ ছিল না, কারণ রাজশাহীর বোলাররা তাই সহজে জেতার সুযোগ দেয়নি। আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাসির হোসেন, শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও সাব্বির রহমানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কল্যাণে জয় নিশ্চিত করে ঢাকা। রাজশাহিকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ঢাকা বিপিএলের এই আসরটি নিজেদের নামে করেন।
খেলাটি শুরুতেই দুঃসংবাদ নিয়ে আসে ঢাকার জন্য, কারণ ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম তে সাইফ হাসানকে হারায় দলটি। এরপর উসমান খান ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের দলের জন্য দুর্দান্ত জুটিতে ঝোঁকান পরিস্থিতি। উসমান ১৫ বলে ১৮ রান করে ফিরে যান, আর অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ১২ রান সংগ্রহ করেন। তবে, মামুনের হাফ সেঞ্চুরি করার সম্ভাবনা উড়িয়ে যায়, তিনি ৪৫ রান করে আউট হন।
অভিজ্ঞ নাসির হোসেন ধীর গতির হলেও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যান, ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। শেষদিকে, শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও সাব্বির রহমান অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। সাব্বির ২ ছক্কায় ১০ বলের মধ্যে ২১ রান করেন, অপর দিকে, শামীমের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। তাদের জুটির মাধ্যমে ১৮ বলে ৩৬ রান যোগ হয়। রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন পাকিস্তানি স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজ, যিনি ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া তানজিম সাকিব ও সন্দীপ লামিচানে একে একে উইকেট নেয়।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রাজশাহী শুরুতেই ধাক্কা খায়, কারণ প্রথম বলেই সাহিবজাদা ফারহানকে হারায়। এরপর তানজিদ হাসান তামিম ও শান্ত জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। অফ স্পিনার নাসিরের ব্রেকথ্রু পাওয়ার পর তানজিদ আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেন, তবে ১৫ বলে ২০ রান করে বাঁহাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। ইয়াসির আলী রাব্বী ভালো শুরু করলেও, প্রয়োজনের সময় ১৫ বলে ১৩ রান করে শামীমের হাতে ক্যাচ দেন।
রাজশাহীর অধিনায়ক তামিম প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে পারলেও, শেষ পর্যন্ত ২৮ বলে ৩৭ রান করেন। মেহেরবের ব্যাটিংও ভালো থাকেনি, ২৩ বলে ২৪ রান করে জিয়াউর রহমানের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ক্যাচ তুলে দেন। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মুশফিকুর রহিম শেষ পর্যন্ত ২৩ বলের মধ্যে ২৪ রান করতে পারেননি। শেষদিকে, নাওয়াজের ২৬ বলে ২৬ রানের ইনিংসেও রাজশাহী ১৩২ রান সংগ্রহ করে। ঢাকার জন্য তিনটি উইকেট নিয়েছেন স্পিনার ইমাদ, আর নাসির পেয়েছেন দুইটি উইকেট।






















