চলতি বছরে প্রবাসী আয়ের ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশে। এর ফলে ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত ডলার জমা হতে থাকায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরো শক্তিশালী হয়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে ডলার সংগ্রহ করছে, যাতে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের মধ্যে সমন্বয় বজায় থাকে এবং আর্থিক বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। শনিবার অনুষ্ঠিত ব্যাংকগুলোর এক বিশেষ অপারেশনে, তিনটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে মোট ১১ কোটি ডলার সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ডলার কেনাকাটা মাল্টিপল প্রাইস অকশন (এমপিএ) পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে ডলার এর বিনিময় মূল্য ছিল প্রতি ডলার ১২২ টাকা ৩০ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাসে একমাত্র এই মাসে তারা ৯২ কোটি ডলার কিনেছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত অর্থবছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডলার কেনাকাটা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন বা ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনেই দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রায় ২১৭ কোটি ২১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ৯ শতাংশ বেশি। সদ্য সমাপ্ত এই অর্থবছরেও রেমিট্যান্সের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এই সময়ে প্রবাসীরা মোট ১ হাজার ৫২১ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৩১২ কোটি ডলার, অর্থাৎ প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ। দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী আয়ের এই বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার কিনাকাটার উদ্যোগের পেছনে সরকারের hুন্ডি প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম, প্রণোদনা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এসব কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন স্বস্তিতে আছে। গত নভেম্বর মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মোট ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন, যার বাংলাদেশি মুদ্রায় মূল্য প্রায় ৩৫ হাজার ২৫২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকায় হিসাব করে)।






















