বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলমান আসর এখন সিলেট পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই পর্ব শেষে কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। মূলত, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে তারা জানুয়ারির প্রথম দিকের দুটি সিরিজের জন্য নিজ দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
অভিষিক্ত উইকেটরক্ষক ব্যাটার খাজা নাফে এই সিরিজের জন্য পাকিস্তানের স্কোয়াডে স্থান পেয়েছেন। যদিও তিনি আপাতত বিপিএলে মাঠে নামেননি, তবে ২৯ ডিসেম্বর রংপুরের জার্সিতে প্রথমবারের মতো খেলতে দেখা যেতে পারে। গত বিপিএলে তিনি চট্টগ্রাম রয়্যালসের হয়ে ২৩ বছর বয়সী ব্যাটার হিসেবে পারফর্ম করেছিলেন। এছাড়া, দীর্ঘদিন পর পাকিস্তানের সবশেষ স্কোয়াডে ফিরেছেন শাদাব খান, যিনি জুনে কাঁধের অস্ত্রোপচার করায় মাঠের বাইরে ছিলেন। এখন তিনি বিগ ব্যাশে বেশ ভালো ফর্মে আছেন।
একই সঙ্গে, বিপিএলে বিভিন্ন দলের হয়ে খেললেও পাকিস্তানের স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটাররা হলেন– ফাহিম আশরাফ (রংপুর রাইডার্স), খাজা নাফে (রংপুর রাইডার্স), মোহাম্মদ নেওয়াজ (রাজশাহী ওয়ারিয়র্স), মোহাম্মদ সালমান মির্জা (ঢাকা ক্যাপিটালস), শাহিবজাদা ফারহান (রাজশাহী ওয়ারিয়র্স), সাইম আইয়ুব ও উসমান খান (ঢাকা ক্যাপিটালস)। তবে এ ছাড়া আরও ৮ থেকে ১০ জন পাকিস্তানি ক্রিকেটার বিভিন্ন দলের স্কোয়াডে রয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানের স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন খাজা নাফে, যিনি এবারের বিপিএলে মাঠে নামেননি। সিরিজের আগে তিনি রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে খেলার সুযোগ পাবেন। এছাড়া, এই সিরিজের জন্য পাকিস্তানের স্কোয়াডে থাকছেন– সালমান আলি আগা (অধিনায়ক), আবদুল সামাদ, আবরার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, মোহাম্মদ নেওয়াজ, মোহাম্মদ সালমান মির্জা, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, নাসিম শাহ, শাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, শাদাব খান, উসমান খান ও উসমান তারেক। তবে সাবেক টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি ও পেসার হারিস রউফ এই সিরিজে থাকছেন না। তারা মূলত পেস আক্রমণের শক্তি হিসেবে নাসিম শাহ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ও সালমান মির্জাকে দলে রেখেছেন।
এই সিরিজের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাকিস্তানের স্কোয়াড নির্ধারিত হবে।






















