আগামী জাতীয় নির্বাচন কি বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য হবে সেই প্রশ্নে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, নির্বাচন শুরুর আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ভোটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সোমবার সকালে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তফসিল ঘোষণের পর থেকে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও সেনাবাহিনীসহ সব ধরনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকলেও, আসল প্রশ্ন হলো—এই পরিস্থিতিতে কি নির্বাচনটা সত্যিই ফ্রি, ফেয়ার এবং বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারবে? তিনি ব্যক্ত করেছেন ব্যাপক শঙ্কা।
এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন, দেশের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের আশপাশে এখনও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অনুপস্থিতি নেই। তারা সাধারণ ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে এবং নির্দিষ্ট প্রতীকে ভোট না দিলে কেন্দ্রে না যাওয়ার धमকি দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোটাধিকার বাস্তবায়নে একটি বড় চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও নিরাপত্তার অভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি উল্লেখ করেন, হিন্দু ভোটারদেরও ভয় দেখানো হচ্ছে, কেন তারা অন্য দলের পক্ষে ভোট দেবেন। এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হয়েছে এবং এর দায়ভারও সরকারের ওপর চাপান।
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে না পারলে সুষ্ঠু নির্বাচন কল্পনা করা সম্ভব নয়। তিনি সোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন উল্লেখ করে, নির্বাচন কমিশন ও সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্বারা দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
প্রধান নির্বাচন উপদেষ্টার আগের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভোটাররা যেন ঈদের দিনের মতো উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন, সেই নিরাপদ ও সুস্থ পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব সরকারের। তাছাড়া, আসন্ন নির্বাচনের জন্য ১০ দল একত্রে আলোচনা করে শিগগিরই আসনের বণ্টনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এছাড়াও, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা যদি মনে করেন, পরিবর্তনের পক্ষে তারা ভোট দিতে চান, তবে প্রত্যাহার করে ফিরে যাওয়ার জন্য তিনি সকলকে আহ্বান জানান।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মিয়া গোলাম পরওয়ার খুলনা-৫ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন। একই সময় খুলনা-১, খুলনা-২, খুলনা-৪ ও খুলনা-৬ আসনের প্রার্থীও মনোনয়নপত্র জমা দেন।






















