নিজের কিংবদন্তি ক্যারিয়ারে অসংখ্য শিরোপা ও পুরস্কার জিতেছেন লিওনেল মেসি। ২০২৫ সালের শেষে এসে তার মুকুটে আরেকটি গৌরবময় উপমা যুক্ত হয়েছে। ফরাসি ভাষার কানাডীয় গণমাধ্যম লে জার্নাল কুইবেক ঘোষণা করেছে, বিশ্বের শীর্ষ ২৫ ক্রীড়াবিদের মধ্যে প্রথম স্থানে দাঁড়িয়ে আছেন অর্জেন্টাইন মহানায়ক মেসি।
ফুটবল, অলিম্পিক, টেনিস, বাস্কেটবল ও অ্যাথলেটিকস—বিভিন্ন খেলার মধ্যে যুক্ত করে তৈরি এই বিশেষ তালিকায় স্থান পেয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্রীড়া তারকারা। এবং তালিকার শীর্ষস্থানটি দখল করেছেন মেসি।
ক্লাব ফুটবল এবং জাতীয় দলে তার সাফল্য অপরিসীম। বার্সেলোনায় শুরু করে পিএসজি, ইন্টার মিয়ামি এবং আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে তিনি জিতেছেন একের পর এক ট্রফি। দীর্ঘসময় অপেক্ষার পর বিশ্বকাপের শিরোপাও অর্জন করেছেন।
ব্যক্তিগত স্বীকৃতি হিসেবে, মেসির রেকর্ড ৮ বার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা, এছাড়া বিভিন্ন লিগ, কাপ ও আন্তর্জাতিক শিরোপািতে তার সফলতা অবিরাম।
তালিকায় তার পরের স্থানগুলোতেও স্থান পেয়েছেন বিশ্ব ক্রীড়ার কিংবদন্তিরা। ২ নম্বর position এ আছেন আমেরিকান ফুটবলের অলিখিত মহাতারকা টম ব্র্যাডি, যিনি নিউ ইংল্যান্ড প্যাট্রিয়টস ও টাম্পা বে বুকানিয়ার্সের হয়ে রেকর্ড ৭টি সুপার বোল জিতেছেন—যা আগে কোনও কোয়ার্টারব্যাক করতে পারেননি।
৩ নম্বরে আছেন অলিম্পিকের স্বর্ণযোদ্ধা মার্কিন সাঁতারু মাইকেল ফেলপস, যিনি ২০০৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত অলিম্পিকে জিতেছেন ২৮টি পদক, যার মধ্যে ২৩টি সোনা। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে এক আসরে তিনি জিতেছিলেন ৮টি স্বর্ণপদক, যা এক অনন্য রেকর্ড।
৪ নম্বর স্থানে আছেন টেনিসের রাণী সেরেনা উইলিয়ামস। এরপর ৫ নম্বরে রয়েছেন দৌড়বিদ উসাইন বোল্ট, ৬ নম্বরে বাস্কেটবল তারকা লেব্রন জেমস, ৭ নম্বরে নোভাক জোকোভিচ, ৮ নম্বরে জিমন্যাস্টিকসের সিমোন বাইলস, ৯ নম্বরে বাস্কেটবল কিংবদন্তি কোবি ব্রায়ান্ট এবং ১০ নম্বরে আবারও উপস্থিত মেসির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
এই তালিকাটি শুধুমাত্র ট্রফি বা পরিসংখ্যানের গল্প নয় বরং এটি একটি স্বীকৃতি—সর্বকালের মধ্যে কে তার খেলা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছেন। এই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, মেসি শুধু ফুটবলের নয়, পুরো ক্রীড়াজগতের একজন অনন্য আইকন।






















