বুধবার ৩১ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর বারিধারার কূটনৈতিক জোনে অবস্থিত বাংলাদেশে নিযুক্ত ৩৩টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার পদত্যাগ করেছেন। এই পদক্ষেপটি ছিল বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে, যা ঢাকার রাজনৈতিক ইতিহাসের এক স্মরণীয় মুহূর্তে পরিণত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের দিকে রওনা হয়েছেন, যেখানে তারা বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায় জানাতে এবং তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করতে উপস্থিত থাকবেন। এসময় তারা দেশের বাইরে থাকা বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সাথে একত্রে উপস্থিত থাকবেন। এর মধ্যে রয়েছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি, কানাডার হাইকমিশনার অজিত শিং, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, মার্কিন অস্থায়ী রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন ও মালয়েশিয়ার অস্থায়ী রাষ্ট্রদূত আমির অফির আবু হাসানসহ আরো অনেকেই।
এর পাশাপাশি, ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশন, জাতিসংঘ, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গভীর শোক প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার এ সমস্ত সংস্থা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক পেজে বিবৃতি প্রকাশ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়ার নামাজের জানাজা আগামী বুধবার বিকেল ২টায় দেশের সংসদ স্থাপনার দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা পড়াবেন বায়তুল মোকাররমের খতিব। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঢাকার শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পাশে দাফন করা হবে।
এই সময় তার পরিবারের সদস্য, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা, বিদেশি কূটনীতিক, এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার ভোর ৬টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।






















