পোর্টাল বাংলাদেশ ডেস্ক:
৬০ঘণ্টার টানা হরতালে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে সাভারের পোষাক শিল্পে। কারখানায় উৎপাদিত পণ্য বিদেশী ক্রেতার কাছে সময়মত পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। এ অবস্থা চলতে থাকলে বিদেশী ক্রেতারা পোষাক শিল্প থেকে মুখফিরিয়ে নেবেন বলে আশংকা তাদের।
সাভারের আশুলিয়ায় অবস্থিত ঢাকা রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে রয়েছে প্রায় শতাধিক পোষাক কারখানা। ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘন্টার হরতালে বিশেষায়িত এ শিল্পাঞ্চল থেকে পণ্যবাহী যানবাহন ছেড়েছে হাতে গোণা কয়েকটি।
অধিকাংশ কারখানায় উৎপাদিত পণ্য হরতালের কারণে গোডাউনজাত করে রাখা হয়েছে।
হরতাল থাকায় ঢাকা ইপিজেড থেকে পণ্যবাহি গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সংখ্যা শুণ্যের কোটায় নেমেছে বলে জানিয়েছেন, ঢাকা ইপিজেড কাষ্টমস বন্ড কমিশনারেট এর সহকারী কমিশনার মানস কুমার বর্মণ।
বর্মণ বলেন, বিশেষায়িত এ শিল্প এলাকাটিতে বিদেশী নাগরিকদের বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশী। আহুত হরতাল তাদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
ইয়াংওয়ান নামক পোষাক কারখানার ডিরেক্টর আরিফ এম হাবিব উল্লাহ খাঁন জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য প্রতিযোগীতামূলক বিশ্বে বাংলাদেশ পোষাক রপ্তানীতে একধাপ এগিয়ে দুই ধাপ পিছনে পড়ছে। হরতালের কারণে এয়ার শিপমেন্টে উৎপাদিত মালামাল বিদেশী ক্রেতার কাছে পাঠাতে গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এসব কারখানা।
তিন দিনের হরতালে বিঘ্নিত হয়েছে পুরো আশুলিয়া এলাকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। হরতালে আমদানিকৃত কাঁচামালের চালান বন্দর থেকে খালাস করে কারখানায় নিয়ে আসা সম্ভব না হওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে সামগ্রীক উৎপাদন ব্যবস্থায়। অন্যদিকে উৎপাদিত পন্য বিদেশী ক্রেতার কাছে সময়মত পৌঁছানোও সম্ভব হচ্ছে না।
আশুলিয়ার দেবনিয়ার গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার নিরধ বড়–য়া জানান, হরতালের কারণে কারখানায় শ্রমিক উপস্থিতি অর্ধেকের কোটায় নেমে এসেছে। গার্মেন্টস কারখানার যানবাহন হরতালের আওতামুক্ত বলা হলেও বাস্তবে ভিন্ন আচরণ করা হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
হরতালের কারণে পোষাক রপ্তানীতে প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশ। এ অবস্থা চলতে থাকলে বিদেশী ক্রেতারা পুরোপুরি এ শিল্প থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করবেন বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি। পোষাক শিল্পের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে হরতালের মত কর্মসুচি না দেয়ার আহবান জানিয়েছেন তারা।