বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছেন, একদিকে আপনারা বলছেন শিক্ষার্থীদের দাবি যুক্তিযুক্ত, তাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে। অন্যদিকে সরকারের মন্ত্রীর অধীনে যে সংগঠন নিয়ন্ত্রিত, সেই সংগঠন ধর্মঘট ডেকেছে কিশোর-কিশোরীদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর জন্যে। এর চাইতে হীন ষড়যন্ত্র আর কী হতে পারে? আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে দমন করার জন্য যদি আপনারা (সরকার) শক্তি প্রয়োগ করেন, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ রুখে দাঁড়াবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মামুন হাসান, ছাত্রদলের ইসহাক সরকার ও খন্দকার এনামুল হকের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মওদুদ আহমদ এই কথা বলেন। গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মওদুদ বলেন, এই পরিবহন ধর্মঘট সরকারের মন্ত্রীর অনুপ্রাণিত সংগঠনের ধর্মঘট। এই ধর্মঘটের কারণে জনগনের যে দুর্ভোগ হচ্ছে সেজন্য সরকারই দায়ী। মন্ত্রীরা একদিকে বলছেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যুক্তিযুক্ত আর অন্যদিকে পরিবহন শ্রমিকদের রাস্তায় নামিয়েছেন, ছাত্রলীগকে এখন রাস্তায় নামিয়েছেন, পুলিশকে এখন রাস্তায় নামিয়েছেন। শিশু-কিশোরদেরকে ওপর পুলিশকে দিয়ে হামলা চালিয়েছেন। ঠিক আগের মতো। এই কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর যেরকম ব্যবহার করেছেন আজকে এই কিশোর শিক্ষার্থীদের ওপরও একই রকম ব্যবহার সরকার করছেন। আজকে এই সরকারকে কোনো মানুষ ও শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করে না।
সংগঠনের আহবায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আমিরুল ইসলাম আলীম, রফিক শিকদার প্রমূখ বক্তব্য দেন।
অন্যদিকে দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘কুষ্টিয়ার আদালত প্রাঙ্গণে নির্ভিক কলম সৈনিক, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা এবং দেশে চলমান ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনে হামলা-মামলার প্রতিবাদে’ এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আদর্শ নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত এ সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শিক্ষার্থীরা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে দেশের সার্বিক অবস্থা কতটা ভয়াবহ। এ পরিণতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। শিক্ষার্থীদের মাঠে দেখে প্রধানমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এখনও দেশের শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা মাঠে নামেনি।
সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে এরং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আল-আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির আহসান হাবীব লিংকন, বাংলাদেশ ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এনডিপির মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ বক্তব্য দেন।