দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অস্ট্রেলিয়া দলের নেতৃত্বভার পান অ্যারন ফিঞ্চ। অধিনায়ক হিসেবে ফিঞ্চ তাঁর প্রথম ম্যাচেই নাম লেখান রেকর্ড বইয়ের ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ পাতায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারটা ছিল ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার টানা সপ্তম হার। ওয়ানডেতে এটাই অস্ট্রেলিয়ার টানা সর্বোচ্চ ম্যাচ হারের রেকর্ড। ফিঞ্চ বোধ হয় কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে হারলে বুঝি নেতৃত্বভার হারাতে হবে! মার্ক টেলরকে এর আগে এমন কপালই মেনে নিতে হয়েছিল। না, এ ধরনের কিছুই ঘটেনি। কথাগুলো ছিল শুধুই সম্ভাবনা। আর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নেমে ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়া ৭ রানের জয়ে ঠিকই টানা হারের বৃত্ত কাটিয়েছে।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তেমন ভালো করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। কোনো ফিফটি ছাড়াই ৪৮.৩ ওভারে ২৩১ রান তুলে গুটিয়ে যায় দলটি। সর্বোচ্চ ৪৭ রান এসেছে অ্যালেক্স ক্যারের ব্যাট থেকে। তাড়া করতে নেমে পুরো ৫০ ওভার খেলেও জয় তুলে নিতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ উইকেটে ২২৪ রানে থেমেছে তাঁদের ইনিংস। ১ উইকেট পেলেও ১০ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন পেসার প্যাট কামিন্স। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউড। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান ডেভিড মিলারের।
১৯৯৬ সালের শেষ দিকে টানা ছয় ওয়ানডে হারের খেসারত গুণে স্টিভ ওয়াহর কাছে নেতৃত্বভার হারিয়েছিলেন টেলর। ফিঞ্চের সামনে এ ধরনের কোনো খড়্গ ছিল না। তবে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে চলতি সময়টা যে মোটেও ভালো যাচ্ছে না। কেপটাউনে বল-বিকৃতি কাণ্ডের রেশ কাটেনি। কিছুদিন আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সভাপতির (সিএ) পদ থেকে সরে দাঁড়ান ডেভিড পিভার। মাঠে দলও হারের বৃত্ত কেটে বেরিয়ে আসতে পারছিল না। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া শুধু ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফিরল না সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও বাড়ল।