বিগত মে মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২১৩টি। এতে নিহত হয়েছেন ২৯২ জন এবং আহত ২৬১ জন। নিহতের মধ্যে ৩৯ জন নারী ও ২৪ শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী গত মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। ৯৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৮৯ জন, যা মোট নিহতের ৩৩.৪৭ শতাংশ।
দুর্ঘটনায় ৫৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ১৯.১৭ শতাংশ। পরিবহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ২১ জন। দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় ট্রাকযাত্রী ১৯, পিকআপের ১২, প্রাইভেট কারের আট, সিএনজির ১১, কাভার্ড ভ্যানের চার, মাইক্রোবাসের তিন, ট্রলির পাঁচ, অটোরিকশার ২১, নসিমন-করিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহিন্দ্রসহ স্থানীয় বিভিন্ন যানবাহনের ৬৪ জন যাত্রী নিহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ছয় জন শিক্ষক, এক জন চিকিত্সক, এক জন সেনাসদস্য, এক জন পুলিশ সদস্য, এক জন গ্রাম পুলিশ সদস্য, এক জন ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার, দুই জন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, এক জন পরিবহন শ্রমিক নেতা, এক জন কৃষি কর্মকর্তা, এক জন ফুটবলার (জেলা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক), দুই জন ইমাম, ৯ জন পোশাকশ্রমিক এবং বিভিন্ন শ্রেণির ৪৮ জন শিক্ষার্থী।
বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে রাজশাহী বিভাগে ৪৬টি দুর্ঘটনায় ৬৮ জন নিহত। সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে ১৭টি দুর্ঘটনায় নিহত ২৪ জন। একক জেলা হিসাবে ময়মনসিংহে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে ১২টি দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত। সবচেয়ে কম কুষ্টিয়ায় একটি দুর্ঘটনায় নিহত এক জন।
সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে আনতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন কিছু সুপারিশ করেছে। দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্টকরণ, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করাসহ ৯ দফা সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।