দৈনিক ওষুধশিল্পে সরকারের কিছু অস্পষ্ট, একপেশে নীতিকৌশল ও নির্দেশনার কারণে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে সরকারের নির্বিকার ভূমিকা এই খাতের জন্য বিশেষ ঝুঁকি সৃষ্টি করছে বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সম্প্রতি, গঠিত ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (ডিসিসি), অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণে গঠিত টাস্কফোর্স, এবং ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটির টেকনিক্যাল সাবকমিটিতে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির কোনও প্রতিনিধি না রাখার বিষয়ে বিএনপি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপি বিশ্বাস করে, ওষুধশিল্পের নীতি প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রণ এবং উন্নয়নে স্বচ্ছতা, অংশীদারিত্বমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পেশাজীবীদের মতামত গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি এবং সংশ্লিষ্ট كافة গুরুত্বপূর্ণ পক্ষেরা আলোচনা করে যৌথভাবে সমাধান খুঁজে বের করাই দেশের স্বার্থে সেরা পদক্ষেপ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শিল্প উদ্যোক্তাদের বাদ দিয়ে কোনও কমিটি গঠন বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ বিএনপি সমর্থন করে না। এছাড়া, এলডিসি (নিম্নোন্নত দেশ থেকে মধ্যোন্নত দেশের তালিকায় উন্নীত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, যা ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর কার্যকর হবে) গ্র্যাজুয়েশনের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে এ খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
বাংলাদেশের জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন ওষুধের নিবন্ধন যথাযথভাবে সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি জানিয়েছে, গত দুই বছর ধরে কোনও নতুন ওষুধের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি, দীর্ঘদিন ধরে ওষুধের মূল্য সমন্বয়ও হয়নি। এর ফলে, বাংলাদেশের হাতে থাকা ট্রিপস (বিশ্ববাজারে পণ্য ও স্বত্বের শুল্ক সিদ্ধান্ত) সুবিধাগুলি হারানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, কারণ বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশের কোটায় পৌঁছানোর জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওষুধশিল্পের জন্য সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য সময়োচিত ও দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। সরকার, বেসরকারি খাত, ওষুধশিল্পের উদ্যোক্তা ও গবেষকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই খাতের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব বলে বিএনপি মনে করে। তারা আশা করে, কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের ওষুধশিল্পের স্থিতিশীলতা ও সুনাম রক্ষা করা যাবে, যেখানে সরকার শিল্পবান্ধব এবং সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় এগিয়ে আসবে।