পাকিস্তানের শাহিনের রানের পাহাড়ে চাপা পড়েছে বাংলাদেশের আশা। প্রথমে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান দল দুর্দান্ত শুরু করে, দুই উদ্বোধনী ব্যাটার খাজা নাফি ও ইয়াসির খান ঝড়ের মতো পারফরম্যান্স করেন। তাদের ব্যাটে ভর করে দল শক্ত ভিত পায়। নাফি ৩১ বলে ৬১ রান করে রান আউট হলে জুটি ভেঙে যায়, কিন্তু ইয়াসিরের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৬২ রান। তৃতীয় নম্বরে নেমে আব্দুল সামাদ ২৭ বলে অপ্রতিকূল ৫০ রান করেন, আর ইরফান খান ১২ বলে ২৫ রান যোগ করেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে পাকিস্তান দল ৪ উইকেটে ২২৭ রান তোলে, যেখানে ইয়াসির খান সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন। বাংলাদেশের জন্য সর্বোচ্চ ৩৪ রানে এক উইকেট অর্জন করেছেন হাসান মাহমুদ। যখন ব্যাটিং শুরু হয়, তখন বাংলাদেশ তাড়াতাড়ি প্রথম উইকেট হারায়; উদ্বোধনী নায়েম শেখ চার বলে ৫ রান করে ফিরে যান। এরপর সাজঘরে ফেরেন আহাম্মদুল্লাহ ও মাহমুদুল ইসলাম অঙ্কন। রানতাড়া শুরুতে ব্যাটিং ভালোই চলছিল, 특히 সাইফ হাসান দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৩২ বলে ৫৭ রান করে ব্যক্তিগত ফিফটি পান। জিশান আলমও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৮৬ রান যোগ করেন। কিন্তু জিশান ১৭ বলে ৩৩ রান করে বিদায় নেওয়ার পর আরও মন্থর হয় বাংলাদেশ। পুরো ইনিংস তারা ১৬ ওভার ৫ বলের মধ্যে সব উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানের বেশি করতে সক্ষম হয়নি। প্রথম ওভারেই নাঈম শেখের জীবনে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে, তিনিই ৪ বলে ৫ রান করে ফিরে যান। এরপর দলের অন্য ব্যাটাররা বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি, ফলে ৭৯ রানে হেরে বাংলাদেশের হার নিশ্চিত হয়। এই ফলাফলে তাদের জন্য এখনই কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, কারণ চাপা পড়া সেই রান পাহাড়ের নিচে পড়েছে বাংলাদেশ। একদিকে পাকিস্তানের শক্তিশালী ব্যাটিং, অন্যদিকে বাংলাদেশের দুর্বল আউট, এভাবেই বাংলাদেশ এই ম্যাচে হতাশাজনক পরাজয় গ্রহণ করে।