ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নির্বাচন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের ওপর বাধা এবং বিশৃঙ্খলার বিষয়টি নিয়ে ছাত্রদল আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির ঢাবি শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন অভিযোগ করেন, বিভিন্ন হল থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় কিছু শিক্ষার্থী প্রশাসনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন এবং ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীদের ওপর হামলার চেষ্টা চালান। এতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায় এবং শিক্ষার্থীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে বাধা পেয়ে হল থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বাধ্য হন। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পালিত মা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে নামকরণ হওয়া এই হলের নির্বাচনে এ ধরনের অশান্তি ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি খুবই দুঃখজনক বলে তারা দাবি করেন।
সংগঠনের নেতারা বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য সবাইকে সমান সুযোগ প্রদান ও পরিবেশ সৃষ্টি করতে হলে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা দরকার। কিন্তু এই ঘটনার মাধ্যমে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাসর্বোচিত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা আরও জানান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের অঘটন আর না ঘটে। সংগঠনটি পাশাপাশি আশঙ্কা প্রকাশ করে, কিছু অসাধু ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দল স্থানীয়ভাবে প্রভাব বিস্তার ও বিরাজনীতিকরণের মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, অভ্যুত্থানের পর বছর পার হয়েও এখনও কিছু ছাত্রলীগের ক্যাডার বিভিন্ন হলের মধ্যে অবস্থান করছে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। আবার মালিহা বিনতে খান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রদল আহ্বায়ক, জানান, হলের মধ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই এবং তারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে গেলে কিছু শিক্ষার্থী বাধা দেয় এবং গায়ে হাত তোলারও চেষ্টা করে। তিনি প্রশাসনের কাছে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা প্রধানমন্ত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিরপেক্ষ, পরিচ্ছন্ন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিতের জন্য সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন অশান্তি আর না ঘটে।