অতীত সংসদ সদস্য আলী আসগর লবি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে তিনি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক ভোটের মাধ্যমে বিএনপি সরকার গঠনে সফল হবে এবং নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নারীরা যেন ভোটের মাঠে নতুন উদ্ভাস ও গণজাগরণ তৈরি করে আমাকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠায়, সে জন্য তিনি আশাবাদী। তিনি আরও দৃঢ়ভাবে জানান, নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে তিনি কাজ করবেন। পাশাপাশি, শুধু নারী ও শিশুদের জীবনমান উন্নয়ন নয়, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নারীর প্রাধান্য ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়েও তিনি গুরুত্ব দেবেন।
আলী আসগর লবি সোমবার বিকেলে জামিরা বাজারে ফুলতলা উপজেলার জামিরা ইউনিয়ন মহিলা দলের এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নারীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ও গার্মেন্টস শিল্পের সূচনা করেন। খালেদা জিয়া সরকারের সময় নারী শিক্ষার জন্য অবৈতনিক মাধ্যমিক শিক্ষা চালু এবং নারীর ওপর হয়রানি, ধর্ষণ ও এ্যাসিড হামলার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করেছেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জামিরা ইউনিয়ন মহিলা দলের সভাপতি শিল্পী বেগম। প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা জেলা মহিলা দলের সভাপতি এড. তছলিমা খাতুন ছন্দা। ইউপি মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মিনাই খাতুন ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিথী বেগম সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ আবুল বাশার, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক এড. সেতারা বেগম, উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মনির হাসান টিটু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসমিন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মুরশিদা বেগম এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
এর আগে, ফুলতলা রি-ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে কলেজে মতবিনিময় আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। শিক্ষার্থীরা তাঁদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন, এর মধ্যে ছিল বিদ্যালয়কে সরকারি করে দেওয়া, অডিটোরিয়াম ও ক্লাসরুমে পর্যাপ্ত ফ্যানের ব্যবস্থা করা। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে আলী আসগর লবি তার নিজস্ব অর্থায়নে ২০টি ফ্যান স্থাপন করেন এবং কলেজের সরকারি করণে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এরপর, তিনি কলেজ চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন।
















