বিচারক কর্তৃপক্ষে অনিয়ম ও সংশ্লিষ্ট ফ্যাসিস্টের দোসর অভিযোগי তদন্তের জন্য বেশ কিছু বিচারপতি এখনো প্রয়োজনীয় নজরদারির মধ্যে রয়েছেন। এর মধ্যে চার জন বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও সম্পন্ন হয়নি এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের নেতৃস্থানীয় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের একজন গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, মোট ১২ জন বিচারপতির বিরুদ্ধে বিচারের জন্য তদন্ত চলছে, যাদের মধ্যে সর্বশেষ ৩১ আগস্ট পদত্যাগ পত্র জমা দেন বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান। তিনি ৭ সেপ্টেম্বর আবাৎকা এই পদত্যাগ স্বীকৃতি পেতে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে অনুমোদন নিয়েছেন।
অভিযোগের আশপাশে থাকা বিভিন্ন ঘটনায় বিভিন্ন সময় আন্দোলন-প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। ২০২৪ সালের আগস্টে সরকারের পতনের পর, শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞানীরা ও আইনজীবীরা বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট চত্বরের দিকে আন্দোলন চালিয়ে যান। তারা সেই সময় বিচারপতিদের অনিয়মের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং বিচারপতিদের অপসারণের দাবিতে ফেসবুক ও অন্যান্য মাধ্যমে কর্মসূচির আহ্বান জানান।
বিচারপতিদের এই আন্দোলনের মধ্যে, প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতিদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎও অনুষ্ঠিত হয়। এসব আলোচনার পর, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা, যিনি বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আছেন, বলেন, বিচারপতিদের পদত্যাগ বা অপসারণের বিষয় জাতির রাষ্ট্রপতির আওতায়। তিনি জানান, ১৬ অক্টোবর, হাইকোর্টের কার্যক্রম শুরু হওয়ার দিন, কিছু বিচারপতি সেই কাজে অংশগ্রহণ করবেন না।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবরের পর, বিচারপতিদের অপসারণের বিষয়টি পুনরায় জড়িত হয়। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের পুনরুজ্জীবন এবং কর্তৃত্বের মাধ্যমে, তদন্ত শুরু হয় ও অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত তদন্তের অংশ হিসাবে, ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে কিছু বিচারপতির ক্ষতিপূরণ বা পদত্যাগের নির্দেশনা আসে।
নতুন নিয়োগ সম্পর্কে, ২০২২ সালে বিভিন্ন বিচারপতিকে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, যাদের মধ্যে কয়েকজন এখন অবসর নিয়েছেন। পাশাপাশি, কিছু বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্তের ফলশ্রুতিতে তাঁদের অপসারণের নির্দেশ আসছে।
সাম্প্রতিক সময়ে, বিচারপতি খিজির হায়াত ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে অপসারণের কাজ সম্পন্ন হয়। এছাড়া, সর্বশেষ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানও পদত্যাগের মাধ্যমে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। এখন বাকি চার বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে এবং তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।