এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শক্তির প্রদর্শন করেছে পাকিস্তান। ব্যাটিং এবং বল করার দিক থেকে তারা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ওমানকে কঠিন চ্যালেঞ্জে ফেলে দেয়। পাকিস্তানের সালমান আগার দল ৯৩ রানের বড় সাফল্য অর্জন করে ম্যাচ জয় করে নিয়েছে।
উইকেটে ব্যাট করতে নামা ওমানের পুরো ইনিংস শুরু থেকেই দুর্বল হয়ে পড়ে। অভিজ্ঞ জতিন্দর সিং, আমির কলিম এবং অধিনায়ক জিশান মাকসুদ কেউই পাকিস্তানের ধারালো বোলিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি। পাকিস্তানের শাহীনের মতো বোলাররা আক্রমণে এসে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপকে ধ্বংস করে দেন। একমাত্র হাসান মির্জা কিছুটা লড়াই দেখান, ২৩ বলে ২৭ রান করেন। বাকি সবাই মাঠের দর্শক হিসেবেই থাকেন।
পাকিস্তানের বোলাররা ধারাবাহিক আক্রমণে ওমানে ব্যাটিংয়ের ভেতর অস্থিরতা সৃষ্টি করে। শেষ পর্যন্ত ওমানের ইনিংস ৬৭ রানে থেমে যায়, যা পাকিস্তানের দাপুটে জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল। সাইম আইয়ুব, মুকিম ও ফাহিম দুটি করে উইকেট নেন, শাহীন, আবরার ও নেওয়াজ একেকটি উইকেট করে থাকেন।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে নামে। প্রথমে ওপেনার সাইম আইয়ুব ৪ রান করে আউট হন, जिससे দলের মধ্যে কিছু শঙ্কা তৈরি হয়। এরপর সাহিবজাদা ফারহান ও মোহাম্মদ হারিসের মধ্যে ৮৫ রানের মহামূল্যবান জুটি গড়ে ওঠে। হারিস ছিলেন দারুণ আক্রমণাত্মক, তিনি খেলেন ৬৬ রানের ঝলমলে ইনিংস। তার সঙ্গে ফারহান (২৯) বেশ ভালো সঙ্গ দেন।
তবে দুজনের বিদায়ের পর পাকিস্তানের ব্যাটিং ধস নামে। একসময় দল ১২০ রানে অর্ধেক উইকেট হারিয়ে ফেলে। শেষদিকে ফখর জামান ২৩ রানের ইনিংস ও মোহাম্মদ নেওয়াজের ১০ বলে ১৯ রানের ক্যামিও ইনিংস পাকিস্তানকে পৌঁছে দেয় ১৬০ রানে।
ওমানের হয়ে শাহ ফয়সাল ও আমির কলিম তিনটি করে উইকেট নেন, কিন্তু পাকিস্তানের ধারালো বোলিং এটাকে নিমেষে ঢেকে দেয়। পাকিস্তানের বলারুর প্রতিপক্ষকে চাপে রাখে।