দেশের সাধারণ মানুষ আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে অনেকেরই শঙ্কা থাকলেও, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন যে সরকার যদি ইচ্ছে করে, তাহলে সেই সময়ের মধ্যেই একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে অংশ নেওয়ার জন্য অবস্থান করছেন। প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে সেখানে গিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে মাত্র তিন মাসের মধ্যে অনেক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থাৎ, নির্বাচন আয়োজনের জন্য কোনো বড় অসুবিধা বা বাধা নেই। মূল বিষয়টি হলো, সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা। যদি তারা চায়, তাহলে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া সম্ভব।
তিনি আরো যোগ করেন, প্রায় দুই দশক ধরে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। বর্তমান সরকার পরিবর্তনের পরেও মানুষের মধ্যে আস্থা ভেঙে গেছে, যা পুনরুদ্ধার জরুরি।
বিএনপি মহাসচিব মনে করেন, এই আস্থাহীনতা কাটিয়ে ওঠার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের আরও কার্যকর ও দৃশ্যমান উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, নির্বাচন হতদরকার, তবে এর জন্য জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
নির্বাচন নিয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কিছু রাজনৈতিক দল সন্দেহ প্রকাশ করলেও, মির্জা ফখরুল তা বড় প্রতিবন্ধকতা মনে করেন না। তিনি বলেন, মানুষ এখন নির্বাচনের জন্য বেশ উদ্দীপ্ত। তাই সরকারের উচিত নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসable নির্বাচনের জন্য মনোযোগারোপ করা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আস্থা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, তিনি আন্তরিকভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চান। এই বিষয়ে বিশ্ববাসীকে জানাতে জাতিসংঘ সফরে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে।