খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, শারদীয় দুর্গোৎসব বাঙালি জাতির হাজার বছরের ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই উৎসব শুধু ধর্মীয় আনন্দের লীলাই নয়, বরং এটি আমাদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী সম্প্রীতির একটি প্রতীক। দুর্গোৎসবের মূল বাণী হলো- অসুর রূপী হিংসা, লোভ ও ক্রোধকে পরাস্ত করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে মানবিক মর্যাদা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। যারা নিরীহ মানুষকে নিপীড়ন, নির্যাতন এবং প্রতিহিংসার মাধ্যমে সমাজ ও মানব সভ্যতাকে ধ্বংসের চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠাই এই উপাসনার মূল উদ্দেশ্য।
রোববার রাতে নবতরুণ সংঘের বাগানবাড়ি, রূপসা মহাশ্মশান ও কালী মন্দিরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতির মূল ভিত্তি হলো সহাবস্থান ও সম্প্রীতির শিক্ষা। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান—সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ যুগযুগ ধরে একে অপরের সুখ-দুঃখে পাশে থেকেছে। দুর্গোৎসব সেই সহাবস্থানের এক অনন্য উদাহরণ। এই উৎসব আমাদের সমাজে ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য, সহমর্মিতা ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসানুর রশীদ মিরাজ, শ্রমিক দলের মহানগর আহবায়ক মজিবর রহমান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি কে এম হুমায়ুন কবীর, নাসির উদ্দিন, সওগাতুল ইসলাম সগীর, মেহেদী হাসান লিটন, সাগর আকন, শুকুর আলী, জালাল প্রমুখ।