গাজার উপকূলের কাছাকাছি প্রবেশ করেছে আন্তর্জাতিক সাহায্যবাহী জাহাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ; গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার এখনো অন্তত ২৬টি নৌযান এগিয়ে চলেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা জানিয়েছে, সর্বশেষ ট্র্যাকার তথ্য অনুযায়ী—’মিকেনো’ নামের একটি জাহাজ গাজার আঞ্চলিক জলসীমায় সফলভাবে প্রবেশ করেছে। তবে, এখনো পরিষ্কার নয়, ইসরায়েলি বাহিনী কি এই জাহাজকে আটক করেছে কি না।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনারা এই ঐতিহাসিক ফ্লোটিলারকে আটকানোর জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে। চলতি পরিস্থিতিতে, কার্যকর নৌযানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪-এ, এর মধ্যে কিছু জাহাজ গাজার কাছাকাছি অবস্থান করছে। এর আগে, গাজায় সাহায্য পৌঁছানোর জন্য এই ফ্লোটিলাকে বাধা দেওয়ার জন্য ভূমধ্যসাগরের উপকূলে আঞ্চলিক জলসীমায় পৌঁছানোর আগেই ইসরায়েলি নৌবাহিনী কয়েকটি জাহাজকে আটক করে।
ফ্লোটিলার মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখনও যাত্রা চালিয়ে যাচ্ছে এবং গাজামুখী আন্তর্জাতিক সহায়তা বহর থেকে অন্তত ২০০ কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শতাধিক কর্মী সহায়তা পাঠানোর জন্য ৪০টির বেশি নৌযান চলছে, যদিও ইসরায়েল বলছে, এই পরিকল্পনাও ব্যাহত করার জন্য তারা তৎপর। আল–জাজিরার প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি নৌবাহিনী জলকামান দিয়ে পানি ছুড়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল করে দিয়েছে এবং জাহাজে থাকা কর্মীদের আটক করেছে।
সাইফ আবুকেশেক, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মুখপাত্র, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী মাঝসমুদ্রে ১৩টি নৌযান থামিয়ে দিয়েছে। এতে ৩৭ দেশের ২০১ জনের বেশি কর্মী ছিলেন, যেমন স্পেন থেকে ৩০, ইতালি থেকে ২২, তুরস্ক থেকে ২১, এবং মালয়েশিয়া থেকে ১২ জন। তিনি জানান, তাদের এই অভিযানে আটক হলেও ‘মিশন চলমান’।
অন্য নৌযানগুলো এখনও ভূমধ্যসাগর পার করে গাজার অবরোধ ভাঙার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে, মাত্র ঘণ্টা দুখর আগে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বেশ কিছু জাহাজ গাজা উপত্যকার কাছাকাছি অবস্থান করছে, মাত্র ৮৫ কিলোমিটার দূরে। আবুকেশেক আরও বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৩০টি জাহাজ এখনো দখলদার সেনাদের বাধা এড়িয়ে গাজার উপকূলে পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত। তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, অনুপ্রেরণায় ভরপুর। ভোরের মধ্যে এই অবরোধ ভেঙে একসঙ্গে গাজায় পৌঁছানোর জন্য তারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’