প্রখ্যাত ভারতীয় গায়ক জুবিন গার্গের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে গোলমাল সৃষ্টি হয়েছে। এবার তার ব্যান্ড সদস্য এবং প্রধান সাক্ষী শেখর জ্যোতি গোস্বামী দাবি করছেন, জুবিনকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, ম্যানেজার শ্রীধর শর্মা ও ইভেন্ট ম্যানেজার শ্যামকানু মহন্ত ষড়যন্ত্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রিমান্ডের নোটে গোস্বামী উল্লেখ করেছেন, জুবিনের মৃত্যু ছিল একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত। হঠাৎ এই ঘটনা ঘটানোর জন্য বিশেষ করে সিঙ্গাপুরের প্যান প্যাসিফিক হোটেলকে নির্বাচন করা হয়, যাতে ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলে চালানো যায়।
ভারত ও সিঙ্গাপুরের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০তম বার্ষিকী ও ভারত-আসিয়ান পর্যটনবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে জুবিন গার্গ সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন। ১৯ সেপ্টেম্বর দ্বীপের কাছে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় তার মৃত্যু হয় বলে প্রাথমিক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
নিউজ ১৮ এর সূত্রে জানা যায়, মূল সাক্ষী হিসাবে অসংখ্য গুরুতর অভিযোগ আনেন শেখর জ্যোতি গোস্বামী। তিনি বলেছিলেন, যখন জুবিনের মুখ ও নাক দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল, তখন তার ম্যানেজার শর্মাকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘যাব দে, যাব দে’ (যে কিছু বলো য়ে কিছু করো)। তখন শর্মা জরুরি চিকিৎসা না দিয়ে বলে, ‘অ্যাসিড রিফ্ল্যাক্স’, যা অবহেলা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাক্ষীরা মনে করছেন, এই অবহেলা জুবিনের মৃত্যুক ত্বরান্বিত করেছে।
গোস্বামী আরো দাবি করেন, জুবিন একজন দক্ষ সাঁতারু ছিলেন। ফলে তার স্বাভাবিকভাবে ডুবে যাওয়ার কোনও কারণ না থাকলেও, শর্মা তাঁকে ইয়ট দুর্ঘটনার কোনও ফুটেজ না দেখানোর নির্দেশ দেন, যা প্রমাণ লুকানোর চেষ্টার অংশ বলে ধারণা করছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছে—জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা, ইভেন্ট ম্যানেজার শ্যামকানু মহন্ত, ব্যান্ডের সদস্য ও প্রধান সাক্ষী শেখর জ্যোতি গোস্বামী, এবং অন্যএক জন সহশিল্পী।