কাঞ্চন কুমার, কুষ্টিয়া থেকে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুব উল আলম হানিফকে তার পদ থেকে অপসারণ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়। এসংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে কুষ্টিয়ার রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। জেলার বিশেষ করে তার নিজ দল আওয়ামী লীগ’র মধ্যেই দেখা যায় অতি উৎসুক প্রতিক্রিয়া। কোথাও কোথাও ঘরোয়া পরিবেশে মিষ্টি বিতরণ করেছে, তারা বলছেন নেত্রী এতোদিনে একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা আরো আগেই নেয়া উচিত ছিল। যদিও এই সংক্রান্ত সংবাদ বেশ কিছুদিন পূর্বেই ছড়িয়ে পড়েছিল এবং সেসময় তিনি এই সংবাদকে নিছক গুজব বলে উড়িয়ে দিলেও আজ সেই গুজবই সত্যি হলো।
এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কুষ্টিয়া-১’র সংসদ সদস্য আফাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার উপর যে দায়িত্ব অর্পন করেছিলেন তা পালন করতে গিয়ে নিশ্চয় এমন কোন ক্রটি নেত্রীর কাছে ধরা পড়েছে যে কারণে আজ তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হয়ত এই সিদ্ধান্তের মধ্যদিয়ে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। যদিও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি সংক্রান্ত বিষয়ে তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটা লিখিত অভিযোগ ছিল।
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি পৌর মেয়র আনোয়ার আলী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আসলে প্রধানমন্ত্রী এতোদিনে বুঝেছেন যে তিনি অপাত্রে ঘি ঢেলেছেন। এই সিদ্ধান্তের মধ্যেদিয়ে নেত্রী নিজেই সরাসরি কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনকে উজ্জীবিত করার দায়িত্ব নিয়েছেন। তাকে অপসারনের ফলে এতোদিন ধরে কুষ্টিয়া আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান নেতাকর্মীরা যারা অবহেলা ও বঞ্চনার ফলে নিস্ক্রীয় ছিল তারা নতুন করে দলের কর্মকাণ্ডে উৎসাহী হয়ে বর্তমানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভুমিকা রাখতে পারবে।
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগ’র সাধারণ সম্পাদক আজগার আলী জানান, আসলে আগামী সংসদ নির্বাচনে তিনি একজন প্রার্থী হিসেবে যাতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন সেজন্য তিনি নিজেই দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নিয়েছেন। তিনি অপসারিত হয়েছেন, একথা ঠিক নয়। এঘটনার কারণে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তেমন কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।