লক্ষ্মীপুরে বিআইডব্লিউটিসি’র শত বছরের পুরনো কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ভাসমান ওয়ার্কশপ ডুবে গেছে। বুধবার (৬ জুন) সকালে সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাট ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় ওই কারখানার নিচের তলা চিদ্র হয়ে পানি ঢুকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় কারখানার সঙ্গে বেঁধে রাখা চারটি ট্রলার ও একটি স্পিড বোডও ডুবে যায় বলে স্থানীয়রা জানান। এতে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন ওই কারখানায় অবস্থানরত আটজন স্টাফ। তবে এখন পর্যন্ত নদীতে ডুবে যাওয়া এসব সরঞ্জমাদি উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ রুটে চলাচলকৃত নষ্ট হয়ে যাওয়া ফেরি ও লঞ্চ মেরামত করতে একটি ভাসমান কারখানা নিয়ে আসে বিআইডব্লিউটিসি। কোটি টাকা মূল্যের এফ এম কামার হাটি ঘাটি নামে এ কারখানাটি দশ বছর আগে থেকে ঘাট সংলগ্ন তীরে রাখা ছিল। সাতজন স্টাফ নিয়ে কার্যক্রমও ছিল চলমান।
বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে জাহাজ ডুবে যাচ্ছে বলে একজন স্টাফ চিৎকার করেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হেলেদুলে পড়া শুরু করলো সব আসবাবপত্রগুলো। এসময় টাকা পয়সা ও মালামাল রেখে অবস্থানরত সব স্টাফ যার যার মতো করে নদীতে লাফিয়ে পড়ে তাদের জীবন রক্ষা করেন। দশ মিনিটের মধ্যেই পুরো জাহাজটি নদীর পানিতে ডুবে যায়। একই সঙ্গে ৪টি ট্রলার ও একটি স্পিড বোডও ডুবে যায় বলে জানান তারা।
এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, ডুবে যাওয়া কারখানাটির ভেতরে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ রয়েছে। কিন্তু ওই কারাখানাটি উদ্ধারে কোনও তৎপরতা চোখে পড়ছে না। অন্যদিকে সংশ্লিষ্টরা কারখানাটি পরিকল্পিতভাবে ডুবিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে বিআইডব্লিউটিসি’র ফেরি সার্ভিসের ম্যানেজার আব্দুল মালেক তা অস্বীকার করে বলেন, “ প্রায় ৮০ বছরের পুরনো কারাখানাটি জরাজীর্ণ ও মেয়াদ উত্তীর্ন ছিল। দূর্ঘটনার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’