ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস নামের রোগটি তরুণ বয়সী থেকে ৫০ বছর অবধি নারীদেরই বেশি হয়ে থাকে। এতে আক্রান্ত নারীরা মূলত পেটের নানা উপসর্গে ভুগে থাকেন, কিন্তু তেমন কোনো কারণ পাওয়া যায় না। উপসর্গগুলো সপ্তাহে অন্তত দুবার এবং তিন মাসের বেশি সময় ধরে দেখা দিতে থাকলে আইবিএস আছে কি না সন্দেহ করা হয়। উপসর্গগুলো এ রকম:
* আইবিএস সি টাইপে কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি হয়। শক্ত দানাদার মল তৈরি হয় এবং মলত্যাগের সময় পেট ব্যথা করে।
* আইবিএস ডি টাইপ আবার উল্টো, ডায়রিয়ার মতো হয় বারবার। কিছু খেলেই বদহজম হয়, পেট নরম হয় এবং অল্প অল্প করে নরম পায়খানা হতে থাকে। সকালের দিকেই বেশি দেখা দেয়।
* কখনো কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া—দুটোই হতে পারে। এটা হলো আইবিএস এম (মিক্সড টাইপ)
* পেট ব্যথা করে, পেট কামড়ায়, পেটে অস্বস্তি লেগেই থাকে।
* পেট ফাঁপা লাগে, মলত্যাগ করার পরও মনে হয় করা হয়নি।
আইবিএসের সঠিক কোনো কারণ পাওয়া যায়নি। এসব উপসর্গ নারীদের মাসিকের আগে আগে বেড়ে যেতে পারে। আইবিএসে যা থাকে না তা হলো ওজন হ্রাস, রক্তশূন্যতা, মলের সঙ্গে রক্ত যাওয়া ইত্যাদি। সাধারণত পরীক্ষা–নিরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক থাকে। ধারণা করা হয়, এর পেছনের কারণ বেশির ভাগই মানসিক চাপজনিত।
আইবিএস যন্ত্রণায় কী করবেন
: সাধারণত খাবার আইবিএসের জন্য দায়ী নয়। কিন্তু কিছু কিছু খাবার আপনার উপসর্গ বাড়িয়ে দিচ্ছে কি না লক্ষ করুন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁরা দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, কফি, কোমল পানীয়, কিছু কিছু শাক ও ফল খেতে পারেন না। যদি কোনো খাবার খেলে সমস্যা বাড়ে, তবে তা এড়িয়ে দেখতে পারেন।
* কোষ্ঠকাঠিন্য যাঁদের মূল সমস্যা, তাঁরা আঁশজাতীয় খাবার বেশি খাবেন। ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন।
* প্রতিদিন ৭-৮ গ্লাস পানি পান করুন।
* একসঙ্গে অনেক খাবার খেলে পেট ফাঁপে। তাই অল্প অল্প করে সারা দিনে ভাগ করে খান।