ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে খুলনা, দাকোপ, মাদারীপুর, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জে ও পটুয়াখালীতে নয় জনের প্রাণহানি হয়েছে। নয় জনই গাছচাপায় মারা গেছেন। এছাড়া, বরগুনায় আশ্রয়কেন্দ্রে আরেকজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১০ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন, ‘পটুয়াখালীতে ৬৫ বছর বয়সী হামিদ কাজী,বরিশালের উজিরপুরে ৬৫ বছরের আশালতা মজুমদার, পিরোজপুরে নাজিরপুরে ৫৫ বছরের ননী মণ্ডল, খুলনার দীঘলিয়ায় ৪০ বছরের আলমগীর, দাকোপে ৫২ বছরের প্রমিলা মণ্ডল, বাগেরহাটের রামপালে ১৫ বছরের সামিয়া ও ফকিরহাটে ২৫ বছরের হিরা বেগম গাছচাপায় মারা গেছেন। এছাড়া, বরগুনায় আশ্রয়কেন্দ্রে ৭০ বছর বয়সী হালিমা খাতুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।’
বুলবুলের আঘাতে বরিশাল ও খুলনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ভোলার লালমোহনে পাঁচ জন, চরফ্যাশনে তিন জন, বরগুনা সদরে তিন জন, পটুয়াখালীর দশমিনায় দুই জন, খুলনার কয়রাতে এক জন ও সাতক্ষীরা সদরে একজন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন নয় জন, বাকি ছয় জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গেপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার বান্ধাবাড়িতে গাছ চাপা পড়ে মারা গেছেন ছেকেন হাওলাদার (৭০) ও সদর উপজেলার গোলাবাড়িয়া গ্রামে মতি বেগম (৬৫)।
আয়শা আক্তার বলেন, ‘বুলবুল কবলিত এলাকা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও চাঁদপুর—মোট ১৪ জেলার ১০৮টি উপজেলায় ৩ হাজার ৯৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে এক হাজার ৪৮৪টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।’
ডা. আয়শা আক্তার আরও বলেন, ‘গতকালই (৯ নভেম্বর) ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকার স্বাস্থ্য বিভাগের সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় আটটি নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।’ স্থানীয় প্রশাসন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের কাজ করতে বলা হয়েছে বলেও তিনি জানান।