সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার শিল্প-সংস্কৃতি বান্ধব সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে একজন বিশিষ্ট সংস্কৃতি অনুরাগী এবং সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতি বিশেষভাবে আন্তরিক। শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মীদের যেকোন দুঃখ-কষ্ট ও সমস্যায় তিনি সবসময় সাহায্যের হাত প্রসারিত করে থাকেন। করোনাকালীন সময়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ইতোমধ্যে সারাদেশের প্রায় ৯৬০০ জন কর্মহীন সংস্কৃতিসেবীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আরো প্রায় ৭০০০ জন কর্মহীন সংস্কৃতিসেবীদের আর্থিক সহায়তার আবেদন জমা পড়েছে। অর্থ বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এসব সংস্কৃতিসেবীদেরও সহায়তা প্রদান করা হবে। মোদ্দাকথা, করোনা’র কারণে কর্মহীন সংস্কৃতিসেবীদের সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে।
প্রধান অতিথি বলেন, যথাসম্ভব স্বচ্ছতার সঙ্গে কর্মহীন সংস্কৃতিসেবীদের তালিকা প্রণয়ন ও তাদের মাঝে অনুদানের অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। এর মাঝেও হয়ত অসাবধানতাবশত কিছু ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে। এ ব্যাপারে ভবিষ্যতে আরো সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। প্রতিমন্ত্রী এসময় করোনা মহামারীতে মৃত্যুবরণকারী সকল শিল্পী ও সংস্কৃতিসেবীদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং এ দুর্যোগ সহসা কেটে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মিউজিশিয়ান্স ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিশিষ্ট বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অসীম কুমার দে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মো. নওসাদ হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।