দেশের শিল্পাঙ্গন থমকে আছে অনেকদিন। টিভি নাটক, মঞ্চ নাটক, চলচ্চিত্র, সঙ্গীতাঙ্গন সবখানেই ক্ষরা চলছে। যদিও টিভি নাটক অনেকটা আগের রূপে ফিরছে। রোজার ঈদের পর থেকেই টিভি নাটকের শুটিং হচ্ছে নিয়মিত। যদিও এখন পর্যন্ত কাজে ফিরেনি অনেকে। অন্যদিকে চলচ্চিত্র এখনো পুরোনো রূপে ফেরেনি। সবার প্রত্যাশা শিগগিরই ঠিক হয়ে যাবে চলচ্চিত্রের অবস্থা। তবে স্টেজ সঙ্গীত যাদের ভরসা, তারা এখনো অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে। এদিকে মঞ্চ নাটক আবারো ফিরবে শিগগিরই। এমনটাই কথা চলছে নাটক পাড়ায়।
নাট্যকর্মীদের প্রায় সবার মতামত খুলে দেওয়া হোক মঞ্চ। আবারো শুরু হোক নাটক। তবে শুরুতে আগের মত করে নয়। স্বাস্থবিধি মেনে অল্প পরিসরে শুরু করার পক্ষে সবাই। এরইমধ্যে এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘স্বাস্থবিধি মেনে যাতে আবারো শুরু করা যায়। তা নিয়ে ভাবছি। এ সবকিছু নিয়ে হল খুলে দেওয়ার ব্যাপারে আমরা মিটিং করেছি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছি। সবকিছু মিলিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।’ প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদলের নাট্যকার, অভিনেতা ও নির্দেশক অনন্ত হিরা ১৩ আগস্ট ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিসহ অন্যান্য মঞ্চ খুলে দেওয়া নিয়ে তিনটি প্রস্তাব দেন। সেগুলো হলোসারা দেশের শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়া, বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে হলভাড়া মওকুফ করা এবং প্রথম তিন মাস শুধু শুক্র, শনিবারসহ বন্ধের দিনগুলোতে পরীক্ষামূলকভাবে মিলনায়তন বরাদ্দ দেওয়া। এই প্রেক্ষাপটে নাট্যকর্মী, নাট্যকার, নির্দেশক ও থিয়েটারসংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের অনেকেই একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তন খুলে দেওয়ার পক্ষে।