কপিরাইট আইন নিয়ে সচেতন হচ্ছেন সংগীতশিল্পীরা। ডিজিটাল মাধ্যমে অডিও বাজারের দখলে চলে এলে কপিরাইট নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন শিল্পীরা। অনেক শিল্পীর অভিযোগ নিজেদের গানের কপিরাইট ক্লেইম পান ডিজিটাল মাধ্যমে। এরপর থেকে শিল্পীরা ও বিভিন্ন সংগঠন এ নিয়ে সচেতন হচ্ছেন।
কণ্ঠশিল্পীদের নৈতিক ও আর্থিক অধিকার সংরক্ষণ এবং সংগীতাঙ্গনের সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়নের প্রত্যয়ে গঠিতে হয়েছে ‘কণ্ঠশিল্পী পরিষদ, বাংলাদেশ’। গত ২১ সেপ্টেম্বর সংগঠনটির সঙ্গে অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রারের বৈঠক। এ বৈঠকে কণ্ঠশিল্পীরা তাদের কপিরাইট বিষয়ক নানা প্রশ্ন করেন রেজিস্ট্রারকে। রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী সেসব প্রশ্নের উত্তর দেন। তবে বৈঠকের মূল আলোচনার বিষয় ছিল কপিরাইট আইনের যথাযথ সংস্কার। দ্রুত এই সংস্কারের জন্য রেজিস্ট্রারের কাছে আহ্বান জানান তারা।
সংগীতশিল্পী নিয়াজ মোহাম্মাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভার সঞ্চালনা করেন সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। কণ্ঠশিল্পী পরিষদ, বাংলাদেশের পক্ষে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের অপর যুগ্ম-আহ্বায়ক কুমার বিশ্বজিত্। তিনি বলেন, ‘সংগীত শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষায় এখনই সময় কপিরাইট আইনের যথাযথ সংস্কার।’ এ সময় ২০২০-এর সংশোধিত কপিরাইট আইনে সকল শিল্পীর অধিকার সংরক্ষণ করার দাবিও জানান তিনি। এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন ফাতেমা তুজ জোহরা, কিরণ চন্দ্র রায়, তপন চৌধুরী, সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, রুমানা মোরশেদ কনকচাঁপা, প্রীতম আহমেদ ও জয় শাহরিয়ার। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মইদুল ইসলাম খান শুভ, সাব্বির জামান ও কিশোর দাস।
সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কণ্ঠশিল্পী পরিষদ বাংলাদেশ নতুন কপিরাইট আইনে নিজেদের প্রস্তাবনা কপিরাইট অফিসে প্রদান করবে।