গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করলেন বিয়ন্সে। গ্র্যামির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার ট্রফি জেতা নারী এখন তিনি। সব মিলিয়ে ২৮টি পুরস্কার এসেছে তার ঘরে। এর মাধ্যমে আমেরিকান ব্লুগ্রাস গায়িকা অ্যালিসন ক্রাউসকে টপকে গেলেন তিনি।
বিশ্বসংগীতের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার গ্র্যামির ৬৩তম আসরে সর্বাধিক ৯টি শাখায় মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিয়ন্সে। এর মধ্যে চারটি পুরস্কার জিতেছেন তিনি। সর্বাধিক ট্রফি গেছে তার হাতেই। আসরের চতুর্থ পুরস্কার গ্রহণের পর তার মুখে শোনা যায়, ‘আমি বেশ সম্মানিত বোধ করছি। আমি অনেক উচ্ছ্বসিত।’
গত বছর ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের সময় বিয়ন্সে বের করেন ‘ব্ল্যাক প্যারেড’। কৃষ্ণাঙ্গদের শক্তি ও প্রাণোচ্ছ্বল মনোভাব নিয়ে সাজানো গানটি জিতেছে সেরা রিদম অ্যান্ড ব্লুজ পারফরম্যান্স পুরস্কার। তিনি বলেন, ‘একজন শিল্পী হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, সময়ের প্রতিফলন ঘটানো আমার দায়িত্ব এবং একটি কঠিন সময়ে এটি তৈরি হয়েছে। এর মাধ্যমে সমস্ত সুন্দর কৃষ্ণাঙ্গ রাজা-রানিদের উত্সাহ দিতে ও তাদের উদযাপন করতে চেয়েছি যারা আমাকে ও সারাবিশ্বকে অনুপ্রাণিত করেন।’
গ্র্যামির এবারের আসরে আরেকটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশীদার হয়েছেন বিয়ন্সে। মেগান দি স্টালিয়ন প্রথম নারী র্যাপার হিসেবে ‘স্যাভেজ (রিমিক্স)’ গানের সুবাদে সেরা র্যাপ সং পুরস্কার পেয়েছেন। হাউস্টনের এই গায়িকার হাতে আরও উঠেছে সেরা র্যাপ পারফরম্যান্স স্বীকৃতি। এছাড়া সেরা নবীন শিল্পী হয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে ব্রেন টিউমারে মারা যাওয়া মাকে পুরস্কারটি উৎসর্গ করেন ২৬ বছর বয়সী এই গায়িকা।
‘স্যাভেজ (রিমিক্স)’ গানে অতিথি শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দেওয়ার সুবাদে বিয়ন্সে দুটি ট্রফি পেয়েছেন। ‘ব্রাউন স্কিন গার্ল’ গানের জন্য সেরা মিউজিক ভিডিও পুরস্কার উঠেছে তার হাতে। এতে তার সঙ্গে অংশ নিয়েছেন মেয়ে ব্লু আইভি, আমেরিকান র্যাপার সেন্ট জন ও নাইজেরিয়ান গায়ক উইজকিড।
বিয়ন্সে আর আমেরিকান সংগীত প্রযোজক কুইন্সি জোন্সের গ্র্যামির সংখ্যা এখন সমান (২৮)। তাদের সামনে আছেন কেবল ৩১টি গ্র্যামি জেতা হাঙ্গেরির ক্লাসিক্যাল কন্ডাক্টর স্যার গেওর্গ সরতি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে স্ট্যাপলস সেন্টারে ১৪ মার্চ (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল) গ্র্যামির জমকালো আসরে টেলর সুইফটও ইতিহাস গড়েছেন। প্রথম গায়িকা হিসেবে অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার শাখায় তিনবার জয়ের রেকর্ড গড়লেন তিনি। করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী লকডাউনের সময় সবাইকে চমকে দিয়ে তিনি প্রকাশ করেন ‘ফোকলোর’। এটাই তাকে এনে দিয়েছে পুরস্কারটি। এর আগে ২০১০ সালে ‘ফিয়ারলেস’ ও ২০১৬ সালে ‘নাইনটিন এইটি নাইন’ গ্র্যামিতে অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার হয়। তার আগে তিন গায়ক এই কীর্তি গড়তে পেরেছেন। তারা হলেন ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা, পল সায়মন এবং স্টিভি ওয়ান্ডার।
‘ব্ল্যাক প্যারেড’ ছাড়াও কৃষ্ণাঙ্গদের ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনে অনুপ্রাণিত আরেকটি গান গ্র্যামিতে পুরস্কৃত হয়েছে। রিদম অ্যান্ড ব্লুজ গায়িকা হারের ‘আই কান্ট ব্রেদ’ পেয়েছে সং অব দ্য ইয়ার সম্মান। গত বছর মিনিয়াপলিসে আটকের পর পুলিশের হাঁটুর চাপে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে জর্জ ফ্লয়েডের শেষ কথা ছিল, ‘আই কান্ট ব্রেদ।’ তার মৃত্যুর পর সারাবিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
হারের প্রকৃত নাম গ্যাব্রিয়েলা উইলসন। ফেসটাইম অ্যাপে টিয়ারা থমাসের সঙ্গে মিলে ‘আই কান্ট ব্রেদ’ লিখেছেন তিনি। পুরস্কার গ্রহণের পর বলেন, ‘আমার ভয় ও বেদনা যে গানকে প্রভাবিত করবে তা ভাবিনি। গানটি আমার মায়ের বাড়ির শোবার ঘরে বসে তৈরি করেছি। পুরস্কার পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ। গানটি সাজানোর পর বাবাকে প্রথম শুনিয়েছিলাম, তিনি তখন কেঁদে ফেলেন। তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কিন্তু মনে রাখবেন, আমরা পরিবর্তন এনেছি যা সবাই দেখতে চায়। ২০২০ সালের গ্রীষ্মে আমরা যেভাবে লড়েছি, সেই একই স্পৃহা ধরে রাখতে হবে।’
ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব রেকর্ডিং আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের আয়োজনে সাড়ে তিন ঘণ্টার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ আফ্রিকান উপস্থাপক ট্রেভর নোয়া। তিনি বলেন, ‘আমি জানি আপনারা অনেকদিন ধরে কনসার্ট উপভোগের সুযোগ পাননি। তাই আজ রাতে আপনাদের কাছে কনসার্ট নিয়ে এসেছি। আশা করি, ২০২১ এভাবেই আনন্দে ও নতুনভাবে কাটতে থাকবে।’
করোনাকালের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ছিল চারটি বৃত্তাকার মঞ্চ। অনুষ্ঠানের বেশিরভাগ অংশ হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলস কনভেনশন সেন্টারের বাইরে বিশাল তাঁবুতে। এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসেছিলেন মনোনীতরা। ছোট ছোট ভেন্যুতে কিছু পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
লালগালিচার জৌলুস শেষে মূল অনুষ্ঠানের শুরুতে একের পর এক গান শুনিয়েছেন হ্যারি স্টাইলস, বিলি আইলিশ ও হাইম। তাদের মধ্যে হ্যারি ‘ওয়াটারমেলন সুগার’ গানের জন্য পেয়েছেন সেরা পপ সলো পারফরম্যান্স পুরস্কার। তার মাধ্যমে এবারই প্রথম ওয়ান ডিরেকশন ব্যান্ডের কেউ গ্র্যামি জিতলেন।
গত বছর গ্র্যামিতে রাজত্ব করা আমেরিকান গায়িকা বিলি আইলিশের ‘এভরিথিং আই ওয়ান্টেড’ জিতেছে রেকর্ড অব দ্য ইয়ার সম্মান। অনুষ্ঠানে তিনি গানটি গেয়ে শোনান। তবে এই অর্জনে বিব্রত হয়ে মেগানকে উদ্দেশ্য করে ১৯ বছর বয়সী এই তারকা বলেন, ‘আপনিই এর যোগ্য। সত্যি বলছি। আমরা কি মেগান দি স্টালিয়নের জন্য করতালি দিতে পারি?’
টেলর সুইফট তার ‘ফোকলোর’ এবং ‘এভারমোর’ অ্যালবাম দুটি থেকে মেডলি পরিবেশন করেন। র্যাপার কার্ডি বি ও মেগান দি স্টালিয়ন প্রথমবার তাদের ‘ওয়াপ’ টিভিতে গেয়ে শুনিয়েছেন। আমেরিকান রক পপ ব্যান্ড হাইমের তিন নারী সংগীতশিল্পী পরিবেশন করেন ‘দ্য স্টেপস’। এছাড়া গান গেয়েছেন পোস্ট ম্যালোন, ডাবেবি, ব্ল্যাক পুমাস, মিকি গাইটন। ব্রুনো মার্স ও অ্যান্ডারসন.পাক উন্মোচন করেছেন তাদের নতুন দল সিল্ক সনিক। সেরা মেলোডিক র্যাপ পারফরম্যান্স বিভাগে সেরা হয়েছে অ্যান্ডারসন.পাকের ‘লকডাউন’।
সবশেষে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যান্ড বিটিএস পরিবেশন করে তাদের বিখ্যাত ইংরেজি গান ‘ডিনামাইট’। নিউ ইয়র্কের অ্যাপোলো থিয়েটার ও লস অ্যাঞ্জেলসের ট্রুবাডোরসহ বিভিন্ন ভেন্যুর কর্মীদের দুর্দশা তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠানে। পুরস্কার তুলে দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন বারটেন্ডার, নিরাপত্তা প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। তাদের জন্য রাখা হয় আলাদা আরেকটি মঞ্চ।
গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করলেন বিয়ন্সে। গ্র্যামির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার ট্রফি জেতা নারী এখন তিনি। সব মিলিয়ে ২৮টি পুরস্কার এসেছে তার ঘরে। এর মাধ্যমে আমেরিকান ব্লুগ্রাস গায়িকা অ্যালিসন ক্রাউসকে টপকে গেলেন তিনি।
বিশ্বসংগীতের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার গ্র্যামির ৬৩তম আসরে সর্বাধিক ৯টি শাখায় মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিয়ন্সে। এর মধ্যে চারটি পুরস্কার জিতেছেন তিনি। সর্বাধিক ট্রফি গেছে তার হাতেই। আসরের চতুর্থ পুরস্কার গ্রহণের পর তার মুখে শোনা যায়, ‘আমি বেশ সম্মানিত বোধ করছি। আমি অনেক উচ্ছ্বসিত।’
গত বছর ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের সময় বিয়ন্সে বের করেন ‘ব্ল্যাক প্যারেড’। কৃষ্ণাঙ্গদের শক্তি ও প্রাণোচ্ছ্বল মনোভাব নিয়ে সাজানো গানটি জিতেছে সেরা রিদম অ্যান্ড ব্লুজ পারফরম্যান্স পুরস্কার। তিনি বলেন, ‘একজন শিল্পী হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, সময়ের প্রতিফলন ঘটানো আমার দায়িত্ব এবং একটি কঠিন সময়ে এটি তৈরি হয়েছে। এর মাধ্যমে সমস্ত সুন্দর কৃষ্ণাঙ্গ রাজা-রানিদের উত্সাহ দিতে ও তাদের উদযাপন করতে চেয়েছি যারা আমাকে ও সারাবিশ্বকে অনুপ্রাণিত করেন।’
গ্র্যামির এবারের আসরে আরেকটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশীদার হয়েছেন বিয়ন্সে। মেগান দি স্টালিয়ন প্রথম নারী র্যাপার হিসেবে ‘স্যাভেজ (রিমিক্স)’ গানের সুবাদে সেরা র্যাপ সং পুরস্কার পেয়েছেন। হাউস্টনের এই গায়িকার হাতে আরও উঠেছে সেরা র্যাপ পারফরম্যান্স স্বীকৃতি। এছাড়া সেরা নবীন শিল্পী হয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে ব্রেন টিউমারে মারা যাওয়া মাকে পুরস্কারটি উৎসর্গ করেন ২৬ বছর বয়সী এই গায়িকা।
‘স্যাভেজ (রিমিক্স)’ গানে অতিথি শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দেওয়ার সুবাদে বিয়ন্সে দুটি ট্রফি পেয়েছেন। ‘ব্রাউন স্কিন গার্ল’ গানের জন্য সেরা মিউজিক ভিডিও পুরস্কার উঠেছে তার হাতে। এতে তার সঙ্গে অংশ নিয়েছেন মেয়ে ব্লু আইভি, আমেরিকান র্যাপার সেন্ট জন ও নাইজেরিয়ান গায়ক উইজকিড।
বিয়ন্সে আর আমেরিকান সংগীত প্রযোজক কুইন্সি জোন্সের গ্র্যামির সংখ্যা এখন সমান (২৮)। তাদের সামনে আছেন কেবল ৩১টি গ্র্যামি জেতা হাঙ্গেরির ক্লাসিক্যাল কন্ডাক্টর স্যার গেওর্গ সরতি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে স্ট্যাপলস সেন্টারে ১৪ মার্চ (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল) গ্র্যামির জমকালো আসরে টেলর সুইফটও ইতিহাস গড়েছেন। প্রথম গায়িকা হিসেবে অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার শাখায় তিনবার জয়ের রেকর্ড গড়লেন তিনি। করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী লকডাউনের সময় সবাইকে চমকে দিয়ে তিনি প্রকাশ করেন ‘ফোকলোর’। এটাই তাকে এনে দিয়েছে পুরস্কারটি। এর আগে ২০১০ সালে ‘ফিয়ারলেস’ ও ২০১৬ সালে ‘নাইনটিন এইটি নাইন’ গ্র্যামিতে অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার হয়। তার আগে তিন গায়ক এই কীর্তি গড়তে পেরেছেন। তারা হলেন ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা, পল সায়মন এবং স্টিভি ওয়ান্ডার।
‘ব্ল্যাক প্যারেড’ ছাড়াও কৃষ্ণাঙ্গদের ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনে অনুপ্রাণিত আরেকটি গান গ্র্যামিতে পুরস্কৃত হয়েছে। রিদম অ্যান্ড ব্লুজ গায়িকা হারের ‘আই কান্ট ব্রেদ’ পেয়েছে সং অব দ্য ইয়ার সম্মান। গত বছর মিনিয়াপলিসে আটকের পর পুলিশের হাঁটুর চাপে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে জর্জ ফ্লয়েডের শেষ কথা ছিল, ‘আই কান্ট ব্রেদ।’ তার মৃত্যুর পর সারাবিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
হারের প্রকৃত নাম গ্যাব্রিয়েলা উইলসন। ফেসটাইম অ্যাপে টিয়ারা থমাসের সঙ্গে মিলে ‘আই কান্ট ব্রেদ’ লিখেছেন তিনি। পুরস্কার গ্রহণের পর বলেন, ‘আমার ভয় ও বেদনা যে গানকে প্রভাবিত করবে তা ভাবিনি। গানটি আমার মায়ের বাড়ির শোবার ঘরে বসে তৈরি করেছি। পুরস্কার পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ। গানটি সাজানোর পর বাবাকে প্রথম শুনিয়েছিলাম, তিনি তখন কেঁদে ফেলেন। তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কিন্তু মনে রাখবেন, আমরা পরিবর্তন এনেছি যা সবাই দেখতে চায়। ২০২০ সালের গ্রীষ্মে আমরা যেভাবে লড়েছি, সেই একই স্পৃহা ধরে রাখতে হবে।’
ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব রেকর্ডিং আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের আয়োজনে সাড়ে তিন ঘণ্টার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ আফ্রিকান উপস্থাপক ট্রেভর নোয়া। তিনি বলেন, ‘আমি জানি আপনারা অনেকদিন ধরে কনসার্ট উপভোগের সুযোগ পাননি। তাই আজ রাতে আপনাদের কাছে কনসার্ট নিয়ে এসেছি। আশা করি, ২০২১ এভাবেই আনন্দে ও নতুনভাবে কাটতে থাকবে।’
করোনাকালের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ছিল চারটি বৃত্তাকার মঞ্চ। অনুষ্ঠানের বেশিরভাগ অংশ হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলস কনভেনশন সেন্টারের বাইরে বিশাল তাঁবুতে। এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসেছিলেন মনোনীতরা। ছোট ছোট ভেন্যুতে কিছু পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
লালগালিচার জৌলুস শেষে মূল অনুষ্ঠানের শুরুতে একের পর এক গান শুনিয়েছেন হ্যারি স্টাইলস, বিলি আইলিশ ও হাইম। তাদের মধ্যে হ্যারি ‘ওয়াটারমেলন সুগার’ গানের জন্য পেয়েছেন সেরা পপ সলো পারফরম্যান্স পুরস্কার। তার মাধ্যমে এবারই প্রথম ওয়ান ডিরেকশন ব্যান্ডের কেউ গ্র্যামি জিতলেন।
গত বছর গ্র্যামিতে রাজত্ব করা আমেরিকান গায়িকা বিলি আইলিশের ‘এভরিথিং আই ওয়ান্টেড’ জিতেছে রেকর্ড অব দ্য ইয়ার সম্মান। অনুষ্ঠানে তিনি গানটি গেয়ে শোনান। তবে এই অর্জনে বিব্রত হয়ে মেগানকে উদ্দেশ্য করে ১৯ বছর বয়সী এই তারকা বলেন, ‘আপনিই এর যোগ্য। সত্যি বলছি। আমরা কি মেগান দি স্টালিয়নের জন্য করতালি দিতে পারি?’
টেলর সুইফট তার ‘ফোকলোর’ এবং ‘এভারমোর’ অ্যালবাম দুটি থেকে মেডলি পরিবেশন করেন। র্যাপার কার্ডি বি ও মেগান দি স্টালিয়ন প্রথমবার তাদের ‘ওয়াপ’ টিভিতে গেয়ে শুনিয়েছেন। আমেরিকান রক পপ ব্যান্ড হাইমের তিন নারী সংগীতশিল্পী পরিবেশন করেন ‘দ্য স্টেপস’। এছাড়া গান গেয়েছেন পোস্ট ম্যালোন, ডাবেবি, ব্ল্যাক পুমাস, মিকি গাইটন। ব্রুনো মার্স ও অ্যান্ডারসন.পাক উন্মোচন করেছেন তাদের নতুন দল সিল্ক সনিক। সেরা মেলোডিক র্যাপ পারফরম্যান্স বিভাগে সেরা হয়েছে অ্যান্ডারসন.পাকের ‘লকডাউন’।
সবশেষে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যান্ড বিটিএস পরিবেশন করে তাদের বিখ্যাত ইংরেজি গান ‘ডিনামাইট’। নিউ ইয়র্কের অ্যাপোলো থিয়েটার ও লস অ্যাঞ্জেলসের ট্রুবাডোরসহ বিভিন্ন ভেন্যুর কর্মীদের দুর্দশা তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠানে। পুরস্কার তুলে দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন বারটেন্ডার, নিরাপত্তা প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। তাদের জন্য রাখা হয় আলাদা আরেকটি মঞ্চ।