গত এক বছরের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অপারেটর ‘নগদ’ সরকারের হয়ে আড়াই কোটিরও বেশি মানুষকে সাত কোটিবার বিভিন্ন ভাতা ও সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে। শনিবার টেলিটকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এ তথ্য জানিয়েছেন ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।
এ সময় তিনি বলেন, এটি আমাদের জন্যে অবশ্যই বড় একটি অর্জন। কারণ, কোভিডের মতো এমন জরুরি একটা সময়ে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ছাড়া হয়তো এতো বড় অংশের কাছে এতো সহজে ভাতা পৌঁছে দেওয়া যেতো না। হয়তো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ছাড়া অন্য কোনা উপায়ে এতো সহজে এতে বেশি মানুষকে সরকারি সহায়তা দেওয়া সম্ভব হতো না।
নগদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আর্থিক খাতে ডিজিটালাইজেশন না করা গেলে ডিজিটাল বাংলাদেশের সামগ্রিক লক্ষ্য অর্জিত হবে না এবং প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মধ্যে না আনা গেলেও লক্ষ্য পূরণ অসম্ভব হবে। এ বিষয়গুলোকে মাথায় রেখেই আমরা দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ‘নগদ’ যাত্রা করে। আজ দুই বছর পর এসে অন্তত এটুকু বলতে পারি, আমাদের যে লক্ষ্য তার খুব কাছাকাছি পৌঁছানো গেছে।
নগদ একটি সরকারি সেবা হওয়ায় অন্য আরেকটি সরকারি সংস্থাও ‘নগদ’-এর আস্থা রাখছে এবং সহজেই তাদের ভাতা, সহায়তা, অনুদান বিতরণ করতে পারছে। একই সঙ্গে প্রযুক্তিগতভাবেও আমরা এতোটাই নিজেদেরকে তৈরি করেছি যে, মোবাইল ফোনে আর্থিক লেনদেন পৃথিবীর যেকোনো সেরা কোম্পানির সঙ্গেও ‘নগদ’-এর তুলনা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এমএফএস বিশেষ করে ‘নগদ’ এর কারণেই তালিকায় থাকা ভুয়া গ্রাহককে বাদ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আর সে কারণে সরকারের বরাদ্দ থেকে ছাড় করা টাকাও আবার সরকারকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। আমার জানা নাই যে এর আগে সরকার কোষাগার থেকে একবার টাকা বেরিয়ে গেলে আর সেটা ফেরত আসে কিনা? নগদ এবং এমএফএস অপারেটরকে ডিজিটাল বাংলাদেশকে সেই বাস্তবতায় নিয়ে গেছে।
এর আগে মূল প্রবন্ধে টিআরএনবি’র সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে বলেন, আগে যেখানে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে সরকারকে হাজারে ২২ টাকায় করে খরচ হতো কিন্তু সেটি এখন ৭ টাকায় নামিয়ে আনা গেছে।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু ।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টিআরএনবি’র সভাপতি রাশেদ মেহেদী।