কৈশোরে ফিরে গেলেন মার্সেলো। বিচ ফুটবল দিয়ে ব্রাজিল জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নের শুরুটা তার সেই ছোট্টবেলায়। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন তার পূরণ হয়েছেন অনেক আগেই। এবার প্রত্যাশার সব সীমা পার হয়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদ লেফট ব্যাকের ব্রাজিলের বিশ্বকাপ অধিনায়ক হওয়ার মাধ্যমে।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিলের উদ্বোধনী ম্যাচে নেতৃত্ব দেবেন মার্সেলো। ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরে যেখানে স্কোয়াডে থাকাই একজন খেলোয়াড়ের জন্য বিশাল কিছু, সেখানে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড থাকাটা যে কারও জন্যই গর্বের ও সম্মানের। মার্সেলো তাই ভীষণ গর্বিত ব্রাজিলের ‘হেক্সা’ মিশনে অধিনায়ক হতে পেরে। নেতৃত্ব দিয়ে দলকে একসুতোয় বেঁধে রাখার ব্যাপার আত্মবিশ্বাসী রিয়াল তারকা, ‘নেতৃত্বের বিষয়টি আমি পছন্দ করি। আর আমার মনে হয়, আমি দলের সবার মধ্যে বিষয়টি ছড়িয়ে দিতে পারব।’
কথাগুলো বলতে বলতে কৈশোরের বিচ ফুটবলের স্মৃতি টাটকা হয়ে উঠলো মার্সেলোর মনে। যখন স্বপ্ন দেখতেন ব্রাজিল দলে খেলার। সেই স্মৃতি রোমন্থন করলেন এই লেফট ব্যাক, ‘বিচ ফুটবলের স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে, যখন স্বপ্ন দেখতাম ফুটবলের বড় আসরে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করার। আর এখন আমি অধিনায়ক। এটা টাকা দিয়ে কেনা যাবে না।’
২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল ব্রাজিলকে। ঘরের মাঠের আসরে জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার ম্যাচে খেলেছিলেন মার্সেলোও। মিনেইরোর লজ্জায় গোটা ব্রাজিল হাহাকারের দেশে পরিণত হলেও মার্সেলো ‘বিশাল ধাক্কার’ কিছু দেখছেন না। তার মতে, ‘ফুটবলে এমন ঘটনা হয়েই থাকে। অবশ্যই অন্যরকম কিছু হতে পারতো। তবে এতে মানসিক আঘাতের কিছু দেখি না আমি। যদি আঘাত থাকতো, তাহলে আমি আর ফুটবল খেলতে পারতাম না, অবসরে চলে যেতাম।’
গত বিশ্বকাপে ব্রাজিলের অধিনায়কের আর্মব্যান্ড ছিল থিয়াগো সিলভার হাতে। এবার তিনি দলে থাকলেও বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেতৃত্বের দায়িত্ব পেলেন মার্সেলো। অবশ্য তিতে কোচ হওয়ার পর নির্দিষ্ট করে কারও কাছে থাকেনি অধিনায়কের দায়িত্ব। তিতের অধীনে ২১ ম্যাচে ১৪ জন আলাদা অধিনায়ক খেলেছেন ব্রাজিলে। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মার্সেলো নেতৃত্ব পেলেও তাই গুঞ্জন আছে আবারও বদল দেখা যেতে পারে অধিনায়কত্বে। গোল ডটকম, মার্কা