দেশের ব্যস্ততম মহাসড়কের মধ্যে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অন্যতম। এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিনই ঢাকা থেকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে হাজার হাজার যাত্রীবাহী ও মালবাহী পরিবহন চলাচল করে। এ সড়কে ধামরাইয়ের শ্রীরামপুর ও বারবাড়িয়া গাজীখালী নদীর ওপর সেতুতে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। দুটি সেতুর ধস ও ভাঙন ঠেকাতে ফাটলের নিচের অংশে বালুর বস্তা ও ইটের দেয়াল দিয়ে ঠেক দেওয়া হয়েছে। বারবাড়িয়া সেতুর পশ্চিম পাশের অংশে বালুর বস্তার চারদিকে দেয়াল দেওয়া হয়েছে। শ্রীরামপুর সেতুর নিচে ইটের দেয়ালের ওপর গাড়ির টায়ার বসানো হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যেই সেতুর ওপর দিয়ে সব ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল করছে।
জানা যায়, সেতু দুটি নির্মাণ করা হয়েছে ষাটের দশকে। নির্মাণের পর থেকে কোনো মেরামত করা হয়নি। কয়েক যুগ ধরে মেরামত না করায় সেতু দুটিতে বড় ধরনের ফাটল দেখা দেয়। শ্রীরামপুর সেতুর চারটি ভিমের মধ্যে দুটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেতুর যে পাশে ফাটল দেখা দিয়েছে ওই পাশ দিয়ে কয়েক মাস আগেই সওজ বিভাগ যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অতিরিক্ত ওজনের ভারী যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে প্রতিনিয়ত। এতে দিনদিন ফাটলের পরিমাণ বাড়ছে।
এদিকে অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের বাথুলীতে বসানো হয়েছে এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন। অভিযোগ রয়েছে, ওই কন্ট্রোল স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই অতিরিক্ত ওজনের মাল বোঝাই ট্রাক-লরি চলাচল করছে। এ অবস্থায় ভারী যানবাহন চলাচল করতে থাকলে যেকোনো সময় সেতু দুটি ধসে মানুষের প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আতিক উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘বাড়বাড়িয়া ও শ্রীরামপুরের দুটি সেতুতে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। এখানে নতুন সেতু নির্মাণ ছাড়া বিকল্প চিন্তা করা যায় না। মেরামত করে এসব সেতুতে নিরাপদে যানবাহন চলাচলের নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’