২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো ফাঁপা মন্তব্য করে একে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার বাজেট মনে করছে খেলাফত মজলিস। বৃহস্পতিবার (৭ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে দলটির আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের প্রস্তাবিত বাজেটের ব্যাপারে নিজেদের এ মনোভাব তুলে ধরেন।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আকারে বড় কিন্তু ভিতরে ফাঁপা ঋণ-নির্ভর এ বাজেট হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো। এ বাজেট দিয়ে সাধারণ জনগণের কোনও কল্যাণ হবে না। আবার এ বাজেট দিয়ে নির্বাচনি বৈতরণীও পার হওয়া যাবে না।’
চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার প্রস্তাবিত এ বাজেটে একলাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকার বিশাল অংকের ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ঘাটতি মেটাতে দেশ-বিদেশ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে হবে সরকারকে। শুধু সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে বাজেটের ১১ দশমিক ১ শতাংশ ব্যয় হবে।
বৈদেশিক নিট ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার ১৬ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, দেশীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সরকার যদি ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে নিয়ে নেয়, তবে বেসরকারি ও ব্যক্তিগত খাতে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে, জনগণের ওপর জাতীয় ঋণের বোঝা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জনগণের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানো হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ বছর তিন লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, যা গত বছরের সংশোধিত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। প্রতি বাজেটেই সরকার সাধারণ জনগণের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। এ বাজেটে সাধারণ জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গরিব মারার এ বাজেট জনগণ মানবে না।